মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীর চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সাচালক সাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. ইলিয়াস শেখ (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার র্যাব-১১, সিপিসি-১, মুন্সীগঞ্জ এর কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে আসামীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ইলিয়াস শেখ মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীর মধ্যনেত্রীবতি গ্রামের মৃত আব্দুল শায়েজ শেখের ছেলে।
রবিবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ শে মে টংগিবাড়ীর চাষিরী গ্রামের অটোরিক্সা চালক সাহাবুদ্দিন অটোরিক্সা নিয়ে বের হন। রাতে সাহাবুদ্দিন বাসায় না আসায় পরের দিন তার বাবা আবুল শেখ থানায় জিডি করেন। ২৭ মে টংগিবাড়ীর আড়িয়াল ইউনিয়নে উত্তর কুড়মিরার একটি জঙ্গল থেকে সাহাবুদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল এবং অটোরিক্সাটি পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় ঐদিনই আবুল শেখ বাদি হয়ে টংগিবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। ভুক্তভোগীর পরিবার র্যাব-১১, মুন্সীগঞ্জের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব-১১ সিআইডি মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। র্যাব-১১ মুন্সীগঞ্জ এর নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৬ ডিসেম্বর শনিবার র্যাব-১১, সিপিসি-১, মুন্সীগঞ্জ এর কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ইলিয়াস শেখকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে নিহত সাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে সাহাবুদ্দিনকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরী দা এবং সাহাবুদ্দিনে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করে র্যাব।
প
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইলিয়াস শেখ অটোরিক্সা চালক সাহাবুদ্দিনের হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং অটোরিক্সা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই তারা হত্যা করে বলে জানায়। এই মামলায় জড়িত অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে প্রস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.