ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা পিত্তিতলা এলাকায় সড়কে অটোরিক্সা থামিয়ে ছিনতাইকালে জনতার সহায়তায় তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় তাদের আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মিঠুন নামে এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।
আটকৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার টংচর গ্রামের করিমের ছেলে ইমন হোসেন ইমু (২৮), একই জেলার বালিয়াতলী গ্রামের মালেক খন্দকারের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (২৫), একই জেলার ছবিপুর গ্রামের মৃত কাশেম দেওয়ানের ছেলে মো. হেলাল (২৮)। তারা সবাই কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় ভাড়া বাড়িতে থাকতো। তাদের সঙ্গে থাকা ছিনতাইকারী নবাবগঞ্জের মিঠুন (৩০) ৪ খারী মাছসহ অটোগাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে মাছ ব্যবসায়ী গোসাই মালো ও অটোগাড়ি চালকের বাবা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে গোসাই মালো বলেন, রোববার ভোর ৪টায় অটোগাড়ি করে উপজেলার হাগ্রাদী থেকে খারি ভর্তি মাছ নিয়ে নবাবগঞ্জ বাজার দিকে আসছিলেন। পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বান্দুরা পিত্তিতলায় এলাকার রাস্তায় ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী গতিরোধ করে রামদা রড শাবল দিয়ে আমাকে ও গাড়ির চালককে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা বান্দুরা থেকে আসা আরেকটি অটোগাড়িতেও হামলা চালায়। ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। পালানোর সময় একটি অটোগাড়িসহ তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে জনতা গণপিটুনী দিয়ে পরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের সঙ্গে থাকা অপর ছিনতাইকারী মিঠুন ৪ খারী মাছসহ অন্য একটি অটোগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ এ বিষয়ে বলেন, আটককৃত তিন ছিনতাইকারীকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। সোমবার আদালতে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে রাম দা, রড, শাবল ও অটোগাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.