ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে পুলিশ পরিচয়ে ইলিশ মাছ ধরার অভিযানে গিয়ে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেলেন আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। তিনি উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায়। এঘটনায় দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে মঙ্গলবার উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় সেটি উপস্থাপন করা হয়।
জানা যায়, গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ তার এক সঙ্গীকে নিয়ে নয়াবাড়ি বাহ্রা ঘাটে গিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক একটি ট্রলার নিয়ে পদ্মায় অভিযানে যায়। এসময় ট্রলারের মালিক শেখ রহম ও চালক মিলনকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় তিনি। অভিযানে গিয়ে দুইটি নৌকায় তল্লাশীও চালায় আবুল কালাম আজাদ। পদ্মায় একটি চরে ট্রলার মালিক শেখ রহম প্রকৃতির ডাকে দিতে নামলে স্থানীয়রা ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। এসময় শেখ রহমকে রেখেই পালিয়ে আসে আবুল কালাম আজাদ ও তার সঙ্গী।
এঘটনায় ২০ অক্টোবর দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ট্রলার মালিক শেখ রহম ও চালক মিলন। মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘটনাটি নিয়ে নানা সমালোচনার জন্ম হয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ড জড়িত আবুল কালাম আজাদকে আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি এলাকাবাসির।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার বলেন, আওয়ামী লীগ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। আওয়ামী লীগে কোন দুষ্টু লোকের স্থান নেই। যারা এধরনের কর্মকা- করে তাদের স্থান আওয়ামীলীগে নেই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি রাত দেড়টায় সময় পদ্মা নদীতে হাওয়া খেতে গিয়েছিলাম। এসময় তিনি এই প্রতিবেদককে নানা ভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করেন ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.