1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

বাঙালির শোকের দিন আজ

প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ ডেস্ক:
  • আপডেট : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৮৭৯ বার দেখা হয়েছে

আজ রক্তেভেজা আর অশ্রুঝরা ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাস ও ইতিহাসের মহানায়ককে ঘৃণ্যতম হত্যা করা হয়। সেদিন বাঙালি জাতি হারিয়েছিল তাদের চিরকালীন ছায়াদাতা মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাঙালির জন্য জীবন উৎসর্গ করা চিরসংগ্রামী মানবতাবাদী বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, তখনই তাকে হত্যা করা হয়।

‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট। ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষা। পাখির কূজন চারিদিকে। বৃক্ষগুলো ঝিরিঝিরি বাতাসে প্রকৃতিকে স্নিগ্ধ করছে। নাগরিকরা ঘুমে। কিন্তু ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিকে ঘিরে চলছে নরপশুদের হিংস্রতার

চূড়ান্ত উৎসব। সেদিনের ওই সময়ে বাংলাদেশের বাতিঘরের পবিত্র আলো নিভিয়ে দেশকে অন্ধকারের পথে ঠেলে দেয় একদল কুলাঙ্গার। যে মানুষটি পরম মমতায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য অবিরাম লড়াই করে গেছেন সেই মানুষটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ক্ষতবিক্ষত করা হয় পুরো বাংলাদেশকে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাই শুধু নয়, এরপর নরপশুরা উৎসব করে।

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। সুবহে সাদেকের সময় পবিত্র আজানের ধ্বনিকে বিদীর্ণ করে ঘাতকের মেশিনগানের ঝাঁক ঝাঁক গুলি ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়িটিকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। ঝাঁঝরা হয়ে ওঠে স্বাধীন বাংলার বুক। কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য ইতিহাস সষ্ট্রার বুকেই শুধু গুলি চালায়নি, একইসঙ্গে তার ছায়াসঙ্গী ও স্বজন নিরীহ-নিরপরাধ প্রতিটি নারী, শিশু, অন্তঃসত্ত্বাকেও হত্যা করে। বাংলার রাজনীতির চিরকালীন জ্যোতিষ্ক, বাঙালির বটবৃক্ষ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বক্ষ বিদীর্ণ করে উলস্নাস করে হায়েনার দল। বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসে সেদিন ছিল একটি কালো দিন। দেশের মানচিত্রসম মানুষটির রক্তে সেদিন ভিজে গিয়েছিল পুরো বাংলাদেশ।

১৫ আগস্টের এই নারকীয় হত্যাকান্ডে প্রকাশ্যে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য সক্রিয় থাকলেও নেপথ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিকচক্র, সামরিক-বেসামরিক আমলাচক্র ও স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ইন্ধন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনার বিষয়টি ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পাশাপাশি হায়েনার দল সেদিন নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ বেড়াতে আসা কয়েকজন নিকটাত্মীয়কে। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে গিয়ে ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারান তার সামরিক সচিব জামিলউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দেশের বাইরে থাকায় সেদিন বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র রাষ্ট্রক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সংগ্রামী বীর বাঙালিকে হায়েনার দল অস্ত্রের মুখে দমিয়ে রাখতে চায় পাকিস্তানি হানাদারদের মতোই। ঘাতকচক্র ও তাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিয়ে দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। খুনিচক্রের প্রধান দোসর জাতীয় বেঈমান ‘বাংলার মীরজাফর’ খন্দকার মোশতাক ও তার সরকারে থাকা সঙ্গীরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে ও খুনিদের রক্ষা করতে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করে। পরে অনৈতিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।

শুধু তাই নয়, জিয়া সরকার খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়। পরে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া সরকার খুনি কর্নেল রশীদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি দেয়। হত্যাকান্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এই জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচারকাজ শুরু হয়। প্রায় ৩৫ বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপিতা হত্যার কলঙ্কতিলক থেকে জাতি মুক্তি পায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) এবং লে. কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদকে (আর্টিলারি) ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর করা হয়। সম্প্রতি খুনি মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর আরও ৫ খুনি এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থান এখনো শনাক্তই করা যায়নি। দুজনের অবস্থান বিদেশে শনাক্ত হলেও তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে চলমান আলোচনায় এখনো কোনো সুফল আসেনি। পলাতক আসামিরা হলেন-আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা আছে। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন সংস্থা। বাকিরা কোথায় আছে সেটা নিশ্চিতভাবে কারো জানা নেই। এদের কারও বর্তমান মুখাবয়ব নিশ্চিত নয় কেউই।

আজ জাতীয় শোক দিবস। সরকারি ছুটির দিন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সঙ্গে উড়বে শোকচিহ্ন কালো পতাকা। যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে এবার সীমিত পরিসরে পালিত হবে বিশেষ এই দিনটি। প্রতিবছর দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে যে অনুষ্ঠানাদি পালিত হতো এবার তার ব্যত্যয় ঘটছে করোনার কারণে। দিবসটিকে ঘিরে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে শোকাবহ এই দিবস স্মরণে আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও জাতির পিতার সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে একাধিক কর্মসূচি পালিত হবে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনের চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। সে সময় সশস্ত্র বাহিনী জাতির পিতাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সকাল থেকেই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বনানী কবরস্থানে গিয়ে ১৫ আগস্টে পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও অন্য শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অপর্ণ, ফাতেহা পাঠ করা হবে। সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। দেশের সব মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। দেশব্যাপী মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালিত হবে। এদিকে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। দেশের টিভি চ্যানেলগুলো, বেসরকারি বেতার, এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি :জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করার জন্য সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমথর্কদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সর্বস্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টায় জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সীমিত পরিসরে। সকাল পৌনে ৯টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে। এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও ফাতেহা পাঠসহ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন থাকবে। সেখানে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে।

বন্যার্তদের ত্রাণ ও অসহায়দের খাবার : দিবসটি উপলক্ষে দেশে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও অসহায়-দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের সব স্থানেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

আলোচনা সভা : এদিকে করোনা মহামারির কারণে ১৬ আগস্ট ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অংশ নেবেন জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

করোনার হানায়ও এসব কর্মসূচি থেকে প্রাণোৎসারিত ধ্বনিতে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে অন্নদাশংকর রায়ের অমর নিবেদন আর বাঙালির চিরকালীন উচ্চারণ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে ‘জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধ’ু ধ্বনি তরঙ্গায়িত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার উৎসারিত আলো ছড়িয়ে দেবে। যে আলোয় ৯ মাসের লড়াই করে বাঙালি পেয়েছে মুক্ত স্বদেশ আর মর্যাদাপূর্ণ ঠিকানা। সেই বাঙালিকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার জন্য আবারও নতুন শপথে বলীয়ান করবেন চিরকালীন মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ