দোহার উপজেলার পশ্চিম বাইপাড়ার মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজের গোড়ায় মাটি ভরাট ও ঢালাইয়ের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংস্কারের এক মাসের মধ্যেই ব্রীজের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদের। এ নিয়ে সাধারণ এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
জানা গেছে, ব্রীজের গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় তা সংস্কারের জন্য রাইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে ২ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্ধারন করা হয়। ব্রীজের গোড়ায় গাইড ওয়াল, মাটি ভরাট ও কংক্রিট দিয়ে ঢালাই এই মর্মে প্রস্তাবপত্র পাশ হয়। কিন্তু গাইড ওয়ালের পরিবর্তে টিন দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে মাটি ভরাট করে তার উপর কোনরকম কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়। এক মাস যেতে না যেতেই টিনের ব্যারিকেড ভেঙে বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে সুরঙ্গের মতো তৈরি হয়েছে। ফলে মারাতœক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ব্রীজটি । নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ঢালাই কোন রকমভাবে টিকে থাকলেও তা যে কোন সময়ে ভেঙে পড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
নিয়মানুসারে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন কমিটি থাকলেও সেটিও মানা হয়নি এখানে।
ওয়ার্ড মেম্বারকে সভাপতি, শিক্ষক নূরে আলম ঝিলুকে সেক্রেটারী ও মসজিদের ঈমামকে সদস্য কমিটিতে রাখা হলেও এলাকাবাসী জানায়, প্যানেল চেয়ারম্যান, ইছহাক মেম্বার ও মো. দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তি কাজটির তদারকি করতে দেখা গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, মুল্য নির্ধারনের অর্ধেক টাকাও ব্যয় হয়নি এখানে।
কমিটিতে থাকা সদস্যরা কাজের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে জানা গেছে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের কাছে সাক্ষর আনতে গেলে পরে তারা বিষয়টি জানতে পারে। তবে দেলোয়ারকে নিয়ে এলাকার মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা না হয়েও দেলোয়ারকে সব কাজের অগ্রভাগে থাকায় হতবাক তারা।
এ ব্যাপারে শিক্ষক নূরে আলম ঝিলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজটি সম্পূর্ণ হওয়ার আমি জানতে পারি আমাকে বাস্তবায়ণ কমিটির সেক্রেটারী হিসেবে রাখা হয়েছে। কাজ শুরুর আগে আমাকে জানানো হলে এলাকার মানুষের স্বার্থে অবশ্যই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতাম।
এ বিষয়ে রাইপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ জানান, আমি অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.