করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে এমন সন্দেহে এক ব্যক্তির লাশ দাফনে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আর সেক্ষেত্রেই ধর্মীয় মতে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাফন করতে এগিয়ে এসেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেলসহ আরও কয়েকজন মুসল্লি। নিহত ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নে মুসলিমহাটি গ্রামে।
বুধবার রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেইজের এক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে একটি পোষ্ট দেয়া হয়। জানানো হয়, বুধবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মৃতদেন দাফনের প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়।
নিহতের ছেলের বরাত দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেইজের স্ট্যাটাসে লিখে জানানো হয়, ওই বৃদ্ধ গত দেড়মাস ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারণে তাকে প্রয়োাজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেননি স্বজনরা। বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাসায় ওই বৃদ্ধ বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। করোনা ভাইরাসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশীদের এমন সন্দেহের কারণে তাকে ঢাকার ওই এলাকায় দাফন করা সম্ভব হয়নি।
যার কারণে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চুড়াইনে নিয়ে আসা হয়। এখানেও একাধিক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে লাশের গোসল, জানাজা, দাফনে জটিলতা দেখা দেয়।
পরিশেষে কোন উপায় না দেখে নিহতের স্বজনরা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে মৃত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে এনে গোসল ও জানাজা পড়িয়ে তার নিজ গ্রামে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেল।
অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েঝে এমন সন্দেহ করে প্রতিবেশী এবং সাধারণ জনগণ যে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন তা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই পোস্ট থেকে বলা হয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.