প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন সামাজিক দেখা সাক্ষাত বন্ধ করতে। জনসমাগমের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যেতে পারে তাই জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মানুষকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এর কোন প্রতিষোধক না থাকায় ঘরে বসে থাকাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। এরই মধ্যে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালত ১০ দিনের ছুটি দিয়েছেন। সরকারের ছুটি উপভোগ করতে গ্রামে আসছেন লোকজন। আজ মঙ্গলবার কোন ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই দোহার ও নবাবগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ গ্রামে চলে আসায় নতুন করে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন. আগে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে তারপর সকল ধরনের ছুটির সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। সরকার এই ছুটি ঘোষণা করেছে সবাই যাতে ঘরে থাকে। এতে করোনাভাইরাস ছড়াবে না। কিন্তু মানুষ টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়ে গ্রামে চলে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসা দোহার ও নবাবগঞ্জের পরিবহণগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে পরিবহণগুলোতে ছিল না জীবানুমুক্ত করার কোন ব্যবস্থা। এছাড়া একেকটা বাসে ৪০/৫০ জন করে যাতায়াত করায় শঙ্কা থেকেই যায়। পাশাপাশি চলেছে সিএনজিও।
ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা বাস যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে বাধ্য হয়ে বাসে এসেছি। তবে বাস জীবানুমুক্ত করার জন্য কোন উদ্যোগও দেখলাম না। পরিবহন মালিকদের আরো সচেতন হওয়া দরকার। গণপরিবহণগুলো বন্ধ করে দেওয়া দরকার ছিল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.