1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

বড়দিন: উৎসবের বারতা নবাবগঞ্জের ১৮ গ্রামে

ইমরান হোসেন সুজন:
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭৩১ বার দেখা হয়েছে।

গীর্জা থেকে খ্রীষ্টান পল্লী সবখানেই এখন বড়দিন পালনের প্রস্তুতি। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, গোশালা। এমনই নানা আয়োজনে বড়দিনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার তিনটি ধর্মপল্লী ও দুইটি উপধর্মপল্লীর অন্তত ১২ হাজার খ্রীষ্ট ধর্মালম্বী। চলছে বর্ণিল সাজসজ্জা ও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।

নবাবগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ, গোল্লা, তুইতাইল, বক্সনগর ও সোনাবাজু সহ ১৮টি গ্রামের উদযাপিত হবে বড়দিন। প্রতিটি গ্রামেই এখন উৎসবের আবহ, চলছে নানা আয়োজন। তবে উৎসব আনন্দ নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের।

হাসনাবাদের বাসিন্দা মেঘনা ব্যাংকের অফিসার করুনা গমেজ বলেন, শেষ মুহুর্তে মা মেরির প্রতিকৃতি ছাড়াও গোয়ালঘরে শিশু যীশুকে ফুটিয়ে তোলা কাজ চলছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ এখন শিশু-কিশোরদের। ঘরে ঘরে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, রকমারি নকশার রঙিন কাগজ, জরি, চেইন, আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হচ্ছে গির্জাঘরগুলো।

হাসনাবাদ মলাশীকান্দা গ্রামের চন্দ্রা গমেজ বলেন, বাড়িতে বাড়িতে কেক, আর পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের আলোয় নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সবাই। এসব কাজে ছোট শিশু থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ সবাই সহযোগিতা করছে। বড়দিনের উৎসবের ঢেউ লাগতে শুরু করেছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও। কারন ধর্মীয় সম্প্রীতিও বড়দিনের একটা শিক্ষা।

বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিলীপ গমেজ বলেন, এ উপজেলার ১৮টি গ্রামে ৫টি গীর্জা আছে। হাসনাবাদের পবিত্র জপমালা রানির গীর্জা ছাড়াও উপজেলার গোল্লা, তুইতাল, সোনাবাজু ও বক্সনগরে গীর্জা আছে। ১৮টি গ্রাম ও গীর্জা এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বক্সনগর খ্রীষ্টান পল্লীর সমাজপতি মুক্তিযোদ্ধা রিচার্ড মুকুল গমেজ বলেন, বড়দিনে আমাদের বড় প্রার্থনা হচ্ছে মানুষের মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ববোধ গাঢ় হয়, পৃথিবী থেকে যেন অস্থিরতা দূর হয় এবং সবার মধ্যেই যাতে শান্তি বিরাজ করে।

নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ জপমালা রানির গীর্জার পাল-পুরোহিত ফাদার স্ট্যানিসলাউস বলেন, বড়দিনের শিক্ষায় আলোকিত হয়ে উঠবে সমাজ এবং অচিরেই করোনা মুক্ত হবে বিশ্ব এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের। সব জরা পেছনে ফেলে শান্তিময় এক পৃথিবীর প্রার্থনা থাকবে এবারের বড়দিনে। তিনি বলেন, যেহেতু করোনা প্রভাব রয়েছে সেকারণে আমারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, বড় দিনকে ঘিরে সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি গীর্জায় পুলিশ পাহাড়া থাকবে ও টহল পুলিশও থাকবে। আশা করি নির্বিঘেœ বড় দিনের উৎসব সম্পন্ন হবে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর