1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

ছয়দিন ধরে ফের নিখোঁজ সেই বৃদ্ধ

সিনিয়র প্রতিবেদক। প্রিয়বাংলা নিউজ২৪
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
  • ৭০৫ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার হাজারীবাগের জাফরাবাদ এলাকা থেকে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আবারও ছয়দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন শতবর্ষী সেই বৃদ্ধ আন্তন রোজারিও। যিনি গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে নিখোঁজ ওই বৃদ্ধের বড় ছেলে সিমসন রোজারিও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তার ছোট ভাই সমুয়েল রোজারিওর জাফ্রাবাদের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি তার বাবা আন্তন রোজারিও।

নিখোঁজের সময় আন্তন রোজারিওর ঘারের বাম পাশে একটি বড় দাউদ আছে। তার পড়নে ছিল চেক লুঙ্গি ও নীল ছাপার শার্ট। পাবনার চাটমোহরের উথলি গ্রামের মৃত ফ্রান্সিস রোজারিওর ছেলে তিনি।

রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ওসি সাজিদুর রহমান প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমরা সব থানায় বেতারের মাধ্যমে নিখোঁজ বৃদ্ধের ছবি ও তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছি। এখনও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তির বড় ছেলে সিমসন রোজারিও জানান, আমি পরিবার নিয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকি। বাবাও বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। কয়েকদিন হল সে ছোট ভাইয়ের জাফরাবাদের বাসায় গিয়েছে। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে।

বাবা বাসায় না ফেরায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় ও স্বজনদের কাছে খোঁজ করে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। ছয়দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার বা তার বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য দিতে পারেনি না।

অনেক খুঁজাখুঁজির পর আমরা টেকনিক্যাল শাহজাতপুর ট্রাভেলসে খোঁজ নিয়ে ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, বাবা মঙ্গলবার বিকেলে বাসে উঠে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার সঙ্গে টাকা বা টিকিট কোনোটাই না থাকায় বাসের হেলপার তাকে বাইপাইল সড়কে নামিয়ে দেন। বাবা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় টাকা বা মোবাইল কোনো কিছুই সঙ্গে নেয়নি। বয়সের ভারে তিনি এখন অসুস্থ। মানসিক ভারসাম্যও অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এছাড়াও তিনি জোরে কথা বলতে পারেন না। তার সঙ্গে কেউ খুব জোরে কথা না বললে তিনি কানে শুনতে পান না। ইতোমধ্যে চারদিন পার হয়ে গেলো আমরা বাবার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। তিনি খেয়ে আছেন নাকি না খেয়ে আছেন তাও জানি না। এমতাবস্থায় বাবা কি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের একটাই চাওয়া তিনি যেনো বাবাকে যে কোনো মাধ্যমে আমাদের কাছে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে দেন বলেন সিমসন।

তিনি আরও জানান, বাবা গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আমাদের ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকার বাসা থেকে সকালে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর নরসিংদীতে মুমূর্ষ অবস্থায় তার সন্ধান পায় আমাদের এক নিকট আত্মীয়। পরে সেই আত্মীয়ই তাকে আমাদের কাছে পৌঁছে দেন। সেই ঘটনার বছর না পেরোতেই বাবা আবার নিখোঁজ হলো।

কেউ যদি আমার বাবার সন্ধান পান বা কোথাও তাকে দেখে থাকেন তাহলে তাকে দয়াকরে নিজেদের হেফাজতে রেখে ০১৭৪৩৫১৫৭৩০ বা ০১৩১০৯০২৭০৮ নম্বরে ফোন করে জানালে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ