1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

চামড়া নিয়ে বিপাকে নবাবগঞ্জের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ.
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০৪ বার দেখা হয়েছে।

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নবাবগঞ্জের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈদের পর এক মাস চলে গেলেও এখনও কেনা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে চামড়ার ক্রয়মূল্যের সঙ্গে বাড়তি খরচ হিসেবে যোগ হচ্ছে শ্রমিক খরচ, বিদ্যুৎ বিল ও ঘরভাড়া।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভের আশায় চামড়া কিনে স্তুপ করে রাখছেন। সেখানে প্রতিদিনই লবণজাত করা হচ্ছে। তবে বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে কেনার সাড়া না পাওয়ায় শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। যতো বেশি দিন তাদের কাছে চামড়া থাকবে, চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও ততো বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে প্রতিটি চামড়া প্রস্তুত করতে হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে লোকসানে। গত ৫ বছর ধরেই লাভের আশায় ব্যবসা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদি গ্রামের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী হরিদাস চন্দ্র বলেন, ‘গ্রাম গঞ্জে চামড়ার সরকারি রেট আছে ৪০-৪৫ টাকা। আমরা ওই দামেই বিক্রি করতে চাই। কিন্তু ট্যানারী মালিকরা নগদ টাকায় কিনতে আসে না। মহাজন তো টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ দিকে আমরা বাকিতেও বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিটি চামড়া সব মিলিয়ে ১০০০ টাকা খরচ পড়ে। আর চামড়া বিক্রি করতে গেলে ৭০০ টাকা দাম উঠে। চামড়া প্রতি ৩০০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবুও বিক্রি করতে গেলে ক্রেতা পাচ্ছি না। সরকারিভাবে বিক্রির ব্যবস্থা হলে লোকসান গুনতে হবে না।’

তারা প্রতিটি চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে কিনেছেন। লবণ ও শ্রমিক খরচ যোগ করে যার মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০০০ টাকা। ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তাদের কাছ থেকে চামড়া কিনলে তাদের প্রতি চামড়ায় লাভ হবে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু ঢাকার ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় কয়েক লাখ টাকার অবিক্রিত চামড়া নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা, যথা সময়ে চামড়া বিক্রি করতে না পারলে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে মান কমে যাবে তাদের চামড়ার। মানহীন সেই চামড়া কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হলে লোকসানে পড়বেন তারা।

কাঁলা চান নামের এক চামড়া ব্যবসায়ী জানান, ‘গত ৫ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করতেছি। এই বছরের মতো এতো কম দামে কখনো বিক্রি করি নাই। ক্রেতা না থাকায় লোকসানে বিক্রি করছি। কিছু চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। আর লবনের দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে এ ব্যবসায় আর টিকে থাকতে পারছি না।’

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর