1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

আস্থার নেতৃত্বে অবিচল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৬৮৯ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকার দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন। দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আলমগীর হোসেন দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে আস্থা রেখেই কাজ করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা দোহার-নবাবগঞ্জবাসী অত্যন্ত সৌভাগ্যবান সালমান এফ রহমানের মত একজন এমপি পেয়েছি। তিনি দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। আমি তাঁর পাশে থেকে সহযোগিতা করছি। নয়াবাড়ির ৩.৫ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে ওই অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য সালমান এফ রহমান ২১৭ কোটি টাকার কাজ করেছেন। সেই কাজের তদারকির দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছি। এছাড়া মাঝিরচর থেকে মুকসুদপুর পর্যন্ত ৬.৫ কিলোমিটার পদ্মার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ১৪৮৩ কোটি টাকার কাজ চলমান সেটা সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। এটা দোহারবাসীর জন্য সালমান এফ রহমানের বড় অর্জন।

শুধু তাই নয় ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ থেকে কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার হয়ে শ্রীনগরের মাওয়া সড়কের সাথে সংযোগ সড়ক জেডকেডি রাস্তার নির্মাণে ৪৬৯ কোটি টাকার কাজ চলছে। এটি রোডস্ এন্ড হাইওয়ের রাস্তা। রাস্তাটি পুরোপুরি ভাবে সম্পন্ন হলে কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারসহ শ্রীনগরের মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে। এই রাস্তাটিও কিন্ত সালমান এফ রহমানের প্রচেষ্টায় হচ্ছে।
তাছাড়া আমরা দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন শাখা রোড চলাচলের উপযোগী করার জন্য সালমান এফ রহমান ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আশা রাখি এমন এক সময় আসবে দোহার-নবাবগঞ্জে কোন রাস্তাঘাট কাঁচা এবং ভাঙাচোরা থাকবে না। মাননীয় সংসদ সদস্য সেইভাবেই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যান সেহেতু যা কিছু দোহারে উন্নয়ন হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সালমান এফ রহমানের পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা করছি। এর পাশাপাশি নিয়মিত উপজেলা এডিপি প্রকল্প তা সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছি। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছোট ছোট ইরিগ্রেশনের পাশাপাশি যেখানে জনগণের চাহিদা আছে তা বাস্তবায়নের করে চলছি। অসংখ্য ছোট ছোট রাস্তাঘাট মেরামত, কার্লভার্ট নির্মাণ এবং সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছি। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের দেওয়া যত সহযোগিতা দোহারের জনগণকে দিতে সক্ষম হয়েছি এবং আগামী দিনেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ্। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠগুলো ভরাট করা হয়েছে।

১৯৬২ সালের ৬ মার্চ দোহার উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মো. আলমগীর হোসেন। ১৯৭৯ সালে সরকারি কবি নজরুল কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৯২ সালে বেক্সিমকো গ্রুপে যোগ দেন তিনি। সেই সাথে বেক্সিমকো মিডিয়া লিমিটেডের একজন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৩ সালে দোহারের রাজনীতিতে সক্রিয় হন আলমগীর হোসেন। বিএনপির সময়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি হলে নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। এখনো আস্থায় অবিচল থেকে দিনরাত কাজ করে চলছেন আলমগীর হোসেন।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর