1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক!

শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ:
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৪১ বার দেখা হয়েছে

হঠাৎ টানা বৃষ্টির ফলে ঢাকার নবাবগঞ্জে সরিষা, রসুন, খেসারি, মাসকলাই সহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ধানের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হঠাৎ করে টানা বৃষ্টির ফলে কৃষি ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা কয়েকদিন থাকলে মাঠের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে ১ হাজার ৪৬ হেক্টর জমির সরিষা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া ৫শ ৯৫ হেক্টর খেসারির মধ্যে বৃষ্টিতে নষ্ট হয় ১ শ ৯০ হেক্টর। এছাড়াও ২শ ২ হেক্টর জমির মাসকলাই এর মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির মাসকলাই নষ্ট হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টিতে উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর, নয়নশ্রী, বান্দুরা, শোল্লাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিচুু এলাকার ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার শত শত বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার পথে। এতে কৃষকরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।

কৃষকরা জানান, আর কিছু দিন পর জমি থেকে ফুল কপি তুলে বিক্রি করা হবে। এবার বেশি লাভ আশা করছিলেন কৃষকরা। এ ছাড়া সরিষার বীজ বপনের পর চারা গজানোর সময় এখন। কিন্তু এমন সময় গত ৩ দিনের অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে কপি, সরিষা ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে ফসলের ক্ষতি দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় কৃষকরা এখন দিশেহারা।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের জৈনতপুর গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, ৭ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। হঠাৎ করে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সরিষার বীজ তলিয়ে গেছে। এখন মৌসুমও নাই আবার চাষ করবো। এইবার সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রামের শীতকালীন সবজি চাষি মো. আব্দুল জব্বার জানান, তার কপি ক্ষেতে পানি আটকে আছে। এতে গাছগুলো নেতিয়ে পড়ছে। গাছগুলো মারা যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি । এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে জমিতে লাউ ও ফুলকপির চাষ করেছেন। বৃষ্টিতে ক্ষেতের সব রোপন করা ফুলকপির চারা মরে গেছে। ৮ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র ২ বিঘা জমিতে এখন ফুল কপির চারা আছে। তার মধ্যেও কিছু মারা যাচ্ছে। এখন এই ঋণের টাকা কিভাবে দেবো, আর সংসার কিভাবে চালাবো? আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেলো।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহান বলেন, টানা বৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি পুর্নবাসন সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ