মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজন চন্দ্র রাজবংশী। মেধাবী সুজন রাজবংশী কাটিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে, ২০১৩ সালে এইচএইচসি ৪.৭০ এবং বিবিএ ম্যানেজমেন্ট সিজিপিএ ৩.২৩ উর্ত্তীণ হয়েছে। ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করে সুখে রাখবেন পরিবারকে। কিন্তু স্বপ্ন নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা যায়, সুজনের মাঝে মধ্যেই শরীরে জ্বর হতো, পরে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানতে পারে সুজনের দুটি কিডনি বিকল, অপারেশন ছাড়া সুজনকে বাঁচানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সুজনের মা জানান, আমার একটি কিডনি ছেলেকে দিব তবে সেটা প্রতিস্থাপন করতে খরচ হবে ৬-৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই টাকা জোগানো আমাদের পরিবারে পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চাই।
সুজনের বাবা কালু রাজবংশী বলেন, আমি মাছের পোনা বিক্রির ব্যবসা করি। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডেই তার প্রতিষ্ঠান। পোনা বিক্রি করে খুব বেশি উপার্জন করতে পারেন না তিনি, বলতে গেলে কোনো মতে সংসারটাই চলছে। তাই ছেলের অপারেশনের জন্য ৬-৭ লাখ টাকা জোগাড় করতে নিতান্ত অসহায় হয়ে পড়েছেন হতভাগ্য বাবা। আত্মীয় পরিজনের মধ্যেও এমন কেউ নেই যে তাকে এত টাকা সহায়তা করতে পারবেন।
তাই ছেলেটির শেষ পরিণতি ভেবে দুচোখের কোন ভিজে ওঠে অসহায় বাবার। আত্মসম্মানের ভয় ঝেড়ে ফেলে ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানসহ সকলের কাছে হাত পেতেছেন। ছেলের জীবন বাঁচাতে মিনতি জানিয়েছেন।
এদিকে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে সমাজের সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন কালু রাজবংশী। কেউ সহযোগীতা করতে চাইলে তার ব্যক্তিগত ০১৭৪২-৫০২৮৪৫ (সুজনের বাবা বিকাশ) পারসোনাল এই নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.