ঢাকা-বান্দুরা-নবাবগঞ্জ সড়কে দাপিয়ে বেড়ানো এন. মল্লিক পরিবহনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছেই। প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপির নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে সড়কে নৈরাজ্য অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে এন মল্লিক পরিবহনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ইচ্ছাকৃতভাবে এন মল্লিক পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় বিআরটিসির একটি এসি বাস খাদের কিনারে চলে যায়। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বাসে থাকা যাত্রীরা। ঢাকা-বান্দুরা সড়কের বেনুখালী ও খারশুর সড়কের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। বিআরটিসি বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে সটকে পড়ে এন মল্লিক পরিবহন। বিআরটিসির বাসে থাকা করুনা গমেজ নামে এক যাত্রী শনিবার তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ঘটনার বিবরন দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই যাত্রীর স্ট্যাটাসের পুরো অংশ তুলে ধরা হলো।
“গতকাল (শুক্রবার) সকাল ৮:০০ ঘটিকায় বান্দুরা থেকে বিআরটিসি বাসে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। বাসটি নবাবগঞ্জে যাওয়ার পরই সামনে পড়ল এন মল্লিক পরিবহনের একটি বাস। শুরু হলো হয়রানি। সামনে কোন গাড়ি নেই, জ্যামও নেই তারপরও এন মল্লিক এগোয় না। দোহার থেকে আসা অনেকগুলো বাসকে টিকরপুরে সাইড দিয়ে ছেড়ে দিল কিন্তু বিআরটিসিকে কোনভাবেই সাইড দেয়া যাবে না সেদিকে এন মল্লিকের বাসচালক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে যাই হোক আমাদের বিআরটিসি বাসটি যখন বেনুখালি ও খারশুরের মাঝে ঠিক তখনই এন মল্লিক পরিবহন আমাদের বাসটি সামনে যাওয়ার জন্য সাইড দিল। বিআরটিসি বাসটি যেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে এন মল্লিক রাস্তার সামনে এসে বিআরটিসি বাসকে ধাক্কা মারে আর তখনই ঘটে এই ঘটনা। অল্পের জন্য আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। আমরা এত কষ্ট করে কাজের জন্যই ঢাকা যাই। সময়মত যদি কাজের জায়গায় পৌঁছাতে না পাড়ি তবে কেমন লাগে বলেন? যেখানে দুই ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়ার কথা সেখানে যদি চার ঘণ্টা লাগে তাতেই বা কেমন লাগে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই এন মল্লিক পরিবহন যে কাজটা গতকাল করল সেটা কি ঠিক করেছে? আর যাত্রীদের এরা রাস্তায় যেভাবে হয়রানি করে তা মনে হয় না আমাদের দেশ ছাড়া আর কেথাও আছে। এন মল্লিক পরিবহন যে অমানবিক কাজটি গতকাল করল তার সুষ্ঠু বিচার হবে কিনা জানিনা। যদি হয় তবে বলব আমাদের কাছেও ন্যায় আছে।
করুনা গমেজ নামে ওই যাত্রীর স্ট্যাটাসের পর, ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এন মল্লিক পরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
এ বিষয়ে জানতে প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ এর পক্ষ থেকে এন মল্লিক পরিবহনের কর্ণধার নার্গিস মল্লিক-কে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য যে, গত ২৫ জানুয়ারি দোহার ও নবাবগঞ্জে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্ধেধনের সময় প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ এর এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান এমপি বলেছিলেন, “বিআরটিসি বাস চলাচলে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে জিরো ট্রলারেন্স নিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” হেভিওয়েট এই সংসদ সদস্যের এমন নির্দেশের পরও এ ধরণের ঘটনা ঘটায় হতাশ সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.