‘‘পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবেনা পিছিয়ে’’ মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কারিতাস উদ্যম প্রকল্প নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিশ^ খাদ্য দিবস উদযাপন করেছে।
মোহাম্মদপুর কর্ম এলাকায় বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সচেতনতা মূলক র্যালী, আলোচনা সভা, মানববন্ধন, ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দরিদ্র বস্তিবাসিদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, সচেতনতামূলক প্র্রচার অভিযান করে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দ বৃদ্ধি ও খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য কমানোর দাবিতে মোহাম্মদপুর তিন রাস্ত মোড়ে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অফিসার মেহেরীন যারীন তাসমীম, কর্মকর্তা মোতামাইন্ন বেগম রিনা, ফরিদ আহাম্মদ খান, প্রকল্প ইনচার্জ, কারিতাস উদ্যম প্রকল্প, মো: আনিছুর রহমান, প্রধান শিক্ষক বসিলা প্রিপ্রেটরী হাইস্কুল, মো: শাহীন আলম,সাত মসজিদ মডেল হাইস্কুল, মো: আলাউদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, হামীম মডেল স্কুল, মো: এরশাদ আলীা, তুরাগ ন্যাশনাল স্কুল, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, নবদয় প্রিক্যাডেট হাইস্কুল, উম্মে সুলতানা, পাঠ শালা বাঁশ বাড়ী স্কুল, মো: জামাল উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, মোহাম্মদপুর ল্যবরেটরি হাইস্কুল, মো: শাখাওয়াত হোসেন, মাঠ কর্মকর্তা, কারিতাস উদ্যম প্রকল্প, আগষ্টিন মিন্টু হালদার, রিচার্ড ডি সিলভা, মুক্তা সরকার, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন যে, দিবসটির উদ্দেশ্য হলো-খাদ্য সমস্যা মোকাবেলায় বিশ^ব্যাপী সচেতনতা বাড়ানো ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তায় গুরুত্ব প্রদান। আমরা জানি, একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় দুটো চ্যালেঞ্জ খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন। ডবিøউএফপি-এর মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯ বিলিয়নে পৌঁছাবে এবং খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ৮৫% বৃদ্ধি পাবে। খরা, ভারী বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রার তারতম্য, লবণাক্ততা এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণের কারণে কৃষি খাত হুমকির সম্মুখীন। প্রতি ডিগ্রি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বিশ^জুড়ে প্রধান খাদ্যশস্য যেমন- গম, চাল, ভুট্টা এবং সয়াবিনের উৎপাদন যথাক্রমে ৬.০% ৩.২%, ৭.৪% এবং ৩.১% হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন যে, দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে নি¤œ আয়ের মানুষেরা দিনে দিনেবার খেয়ে জীবনযাপন করছেন।
বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের নিকট নি¤েœ উল্লিখিত বিষয় গুলো দাবী আকারে তুলে ধরেন;
১। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে, ভেজাল খাদ্য তৈরীর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এন শাস্তির ব্যবস্থা করা;
২। টেকসই কৃষি খাদ্যব্যবস্থা এবং খাদ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা;
৩। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিসমূহের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং সেবাগ্রহীতাদের উত্তরণে একটি সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাসহ শক্তিশালী মনিটরিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা;
৪। প্রান্তিক, শ্রমজীবী ও নি¤œবিত্ত মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে; সে জন্য চাল, ডাল, আটাসহ সকল নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
৫। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুরক্ষার জন্য জলবায়ু সহনশীল, পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা এবং পারিবারিক কৃষির সাথে সংশ্লিষ্টদের অধিকারকে সমুন্নত রাখা;
৬। মূল্যের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পাইকারি ও খুচরা উভয় ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বাজার তদারকি নিশ্চিত করা।
৭। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ‘মূল্য কমিশন’ গঠনের জরুরী উদ্যোগ গ্রহণ করা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.