ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় কাশিমপুর এলাকায় ঢাকা বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ওয়ান ব্যাংকের উল্টো দিকে একটি অর্ধনির্মিত টিনকাঠের দোকানঘর ভাঙচুর করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগনেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তাভোগী আব্দুল রশিদ অভিযোগ করে বলেন, কাশিমপুর মৌজার এসএ দাগ ৩৯৮ ও আর দাগ ৩৪৫ এ ১৬ শতাংশ ও ৩৪৬ দাগের ৩ শতাংশ মোট ১৯ শতাংশ জমি মতিউর রহমানের কন্যা হাবিবা রহমানের কাছ থেকে ২০১২ সালের ২৭ মার্চ ২২০৬নং দলিল মূলে কিনে নেন। দীর্ঘদিন ধরে হাবিবা রহমানের দুইসহোদর মিজানুর রহমান পনির ও সাহানুর রহমান স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের যোগসাজসে আরও বেশী দামের আশায় জমি বিক্রি করে নাই মর্মে বোনকে দিয়ে প্রতারণার উদ্দেশে আমাকে বার বার বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। আমি আমার ক্রয়কৃত জমির উপর কিছু অংশে দোকাটপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, উক্ত জমির বাকী অংশে টিনকাঠের দোকানাপট নির্মাণ কাজ করতে ছিলাম। হাবিবার ভাই মিজানুর রহমান পনির বাহ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাজু আহমেদের সহায়তায় আরও ৫০/৬০ জনলোক নিয়ে শুক্রবার ভোরের দিকে নির্মাণ করা দোকানঘর ভাঙচুর করে ট্রাকে করে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে জায়গায় এসে আমি ৯৯৯ সেবায় ফোন করলে নবাবগঞ্জ থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেখে যায় এবং আমাকে থানায় যেতে বলে।
এবিষয়ে জানতে শুক্রবার দুপুরে মিজানুর রহমান পনিরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাহ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম বলেন, তদন্ত করে দেখব সে জড়িত কিনা প্রমান মিললে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা সেকেন্ড অফিসার পুলিশ উপপরিদর্শক অজিত কুমার রায় বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম সেখানে আমরা কোন দোকানাপাট দেখি নাই ও কাউকে ভাঙচুর করতেও দেখি নাই তবে কিছু পাকা খাম খুটি পড়ে থাকতে দেখেছি সেগুলোর ছবি তুলে নিয়ে এসেছি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.