ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বড় ভাই ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
কেরানীগঞ্জ র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (পরিচালক) ও এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আলিনগর এলাকার মৃত তাহের আলীর ছেলে মো. হায়দার আলী জনি (৪০) ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ লিজা আলী (৩১)।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জনি ও জিমি দুই ভাইয়ের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ৯ অক্টোবর রাতে জিমি ও তার স্ত্রী দ্বিতীয় তাদের নিজঘরে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ গভীর রাতে জানালার পর্দায় আগুন জ্বলতে দেখে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তারা পর্দার আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জিমির বড় ভাই জনি ও তার স্ত্রী আগুন লাগানো একটি মোটা কাঁথা জিমির শরীরের দিকে ছুড়ে মারলে সে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ অক্টোবর তিনি মারা যান।
পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পর থেকেই নিহতের বড় ভাই ও তার স্ত্রী পলাতক ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন ভৈরবপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি স্বর্ণের চেইন, দুইটি স্বর্ণের আংটি, মালশিয়ান ১১২ রিংগিত, অন্য ব্যক্তির একটি পাসপোর্ট, সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ- ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.