1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা

শামীম হোসেন সামন.
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ৩৪৭ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জে চলছে ধান কাটার মৌসুম। তবে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার নবাবগঞ্জে ধান কাটা কাজে যোগ দেয়া শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই আসেন সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা থেকে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা খুবই কম।

ধান কাটতে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ শ্রমিক অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাই তারা এবার ধান কাটতে আসেনি। এরই মাঝে শুরু হয়েছে ধানের মৌসুম। কোনো শ্রমিক নিজ জেলায় ধান কাটার কাজ শুরু করেছে।

ধানের বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। দুশ্চিন্তা কাটছে না কিছুতেই। দ্বিগুন টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রায় ১০ দিন ধরে ধান কাটা শুরু হলেও অনেক কৃষক ই শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটতে পারছেন না।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, শত শত হেক্টর জমির ধান পাঁকার পরও শ্রমিক সংকটের কারনে কাটতে পারছেন না।

উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের মুন্সীনগর এলাকার কৃষক রফিক মিয়া বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে জানান তিনি। তবে শ্রমিক সংকটের কারনে বৃষ্টিতেও পাঁকা ধান কাটতে পারছেন না। ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে ধান ।

নূরনগর গ্রামের কৃষক গৈজদ্দিন বলেন, এবার ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে এখনও ধান কাটতে পারেননি তিনি।

জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কঠুরি এলাকার জাফর মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ‘একজন শ্রমিক ১ হাজার টাকায় পাইতেছি না। এক মণ ধানের দাম ১১’শ টাকা। ধান রোপন করে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে আছি’।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের মুন্সীনগর এলাকার সলিম উদ্দিন জানান, ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। প্রায় সব জমির ধানই পাঁকা শেষ । কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পোঁকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সঠিক সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। শ্রমিক সংকট নিরশনের জন্য সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ১৪টি ইউনিয়নে ধান কাটার জন্য ৫টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। এবার কোনো শ্রমিক সংকট নেই বলেও দাবি কৃষি অফিসের।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। এবার ধানের দাম বেশি হওয়ায় আগামী বছর বোরো ধানের আবাদ বাড়বে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর