1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে সড়কের মাঝে তিন বৈদ্যুতিক খুঁটি!

আসাদুজ্জামান সুমন
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১
  • ১২১৬ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি সড়কের দেড় কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সড়কের মাঝে পরপর তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। কিন্তু তা সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের বর্ধনপাড়া পিকেবি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রাম্য সড়ক থেকে দাসপাড়া পর্যন্ত এ সড়কে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর আগে ওই খুঁটিগুলো স্থাপন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বর্তমানে এ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে ওই খুঁটি তিনটি স্থানান্তরের বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর দুটি লিখিত আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

কয়েকমাস ধরে ওই সড়কটি ৮ ফুট থেকে ১০ ফুট প্রশস্তকরণ করাসহ উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় বিষয়টি উল্লেখ্য করে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রথমে ওই সড়কে মধ্যে বিদ্যমান থাকা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর ২৩৩-৯-এ, ২৩৩-১২এ, ২৩৩-১২-এ২, ২৩৩-১২-এ৩ নম্বরের চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়ক থেকে স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দেন ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

এ আবেদনের কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো রকমের প্রতিকার না পেয়ে এ বছরের ২১শে এপ্রিল ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য ওই চারটি খুঁটি থেকে সড়কের মধ্যে বিদ্যমান তিনটি খুঁটি জরুরী ভিত্তিতে স্থানান্তরের জন্য পুণরায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আরও একটি লিখিত আবেদন দেন। এতেও কোনো সমাধান মেলেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ওই সড়কটির প্রশস্তকরণ করাসহ উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। অথচ সরানো হয়নি খুঁটিগুলো। সড়কের মাঝে এ খুঁটিগুলো থাকার কারণে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বর্ধনপাড়া পিকেবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দাসপাড়া পর্যন্ত চলাচল করা শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

স্থানীয় অটোরিক্সা চালক আব্দুল আজিজ বলেন, স্থানীয় মেম্বারের বাড়ির ও আক্তার আলী স্মৃতি সংঘের পাশের সড়কে পরপর তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। সড়কের ঠিক মাঝখানে দুটি খুঁটি থাকায় আমরা অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করতে পারি না। এমনকি জরুরী মুহূর্তে রোগী নিয়েও চলাচল করতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। এখন আবার সড়কের পাশের ডোবা ভরাট করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও সড়কের মাঝখানের বৈদ্যুতিক খুঁটি পাশ কাটিয়ে যাবার সময় এক অটোরিকশা চালক রিকশা নিয়ে পাশের খাদে পড়ে আহত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার খন্দকার বলেন, সড়কের মাঝেখানে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো এটা কেমন ধরণের কাজ? পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকদেরআমিসহ এলাকার মানুষ বহুবার বলেছি খুঁটি সরাতে। এখন বড় ধরণের একটা দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে?

ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো: আক্কাস আলী বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে আমাদের চেয়ারম্যান এবং আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খুঁটিগুলো স্থানান্তরের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও এর কোন প্রতিকার পাইনি। বরং সেখানে থেকে খুঁটিগুলো সরানো বাবদ নির্ধারিত ফি জমা দিতে বলেছে।

তিনি আরো বলেন, এটা তো সরকারি রাস্তা। তার মাঝে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বিদ্যমান। আমরা জনস্বার্থে আবেদন দিয়েছি। এ জন্য ফি জমা দিতে হবে কেনো বুঝলাম না। এটা তো কোনো ব্যাক্তিগত বিষয় না যে খুঁটি সরানোর জন্য ফি জমা দিতে হবে। আমার ওয়ার্ডের জনগন দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে চলাচলে সমস্যা ভোগ করে আসছে। বর্তমানে এই সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হবার আগেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তাদের বৈদ্যুতিক ওই তিনটি খুঁটি দ্রুত স্থানান্তর করে জনসাধারণের চলাচলের পথ সহজ করে দিক বলেন আক্কাস আলী।

বক্সনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, স্থানীয়দের পক্ষে আমি লিখিতভাবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ-২ অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি। এর পাঁচ অতিবাহিত হয়ে গেলেও এর কোনো প্রতিকার পাইনি।

এ বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিমান্ড নোট দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারী খুঁটি স্থানান্তরের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিলেই খুঁটিগুলো স্থানান্তরর কাজ করে দেওয়া হবে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর