শখ করে গরুর নাম রেখেছে ডন। দেখলেই যে কারোর পছন্দ হবে। এবারের কোরবানির ঈদে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের সেরা গরুর তালিকার স্থানে রয়েছে এই ডন নামের গরুটি। নবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী দোহার উপজেলার কাঠালীঘাটা গ্রামের রুবেলের বাড়িতেই বড় হয়েছে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি। গরুর ওজন ৮’শ কেজি। রঙ সাদা কালো।
গরুর মালিক মো. রুবেল পেশায় একজন মটর মেকানিক। তার স্বপ্নের এ গরুটির দাম হাঁকছেন ৮ লাখ টাকা। উচ্চতা ৫ ফুট এবং লম্বায় ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। রুবেলের দাবী গরুটির ওজন প্রায় ২০ মণ।
জানা যায়, রুবেলসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ব্যস্ত থাকেন ‘ডনের’ সেবা যত্নে। ডনের জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেডের ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা দুটি ফ্যানের সু-ব্যবস্থা। মোটরের সাহায্যে পাইপ দিয়ে দু-বেলা গোসল করানো হয় ডনকে।
সৌখিন খামারী রুবেল জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেকটা সখের বসেই তিনি গরুটি লালন-পালন করছেন। সখ করে নাম রেখেছেন ডন। চৌদ্দ মাস বয়সে তিনি এ গরুটিকে কিনে এনে বিশেষ যত্মে লালন-পালন করছেন। বর্তমানে গো-খাদ্যের যে দাম প্রতিদিন ডনের পেছনে খরচ হচ্ছে প্রায় হাজার টাকা।
রুবেল তার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘তিনি নিশ্চিত দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় এ বছর সব থেকে বড় গরু ডন। তিনি বলেন, আমার এই ডনকে এক নজর দেখতে আশপাশের মানুষ সহ অনেক দূরদূরান্তের মানুষ এসে প্রতি দিন ভিড় করে। তার ইচ্ছা বাড়িতে থেকে গরুটি বিক্রি করার। ১০ মাস ধরে পরম যত্নে গরুটিকে লালন পালন করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণ করছেন। কোন ইনজেকশন বা ট্যাবলেট জাতীয় খাবার খাওয়ানো না। খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা ও ছোলার ভুষি ও কুঁড়া মিলে দিনে দুইবার ১০ থেকে ১২ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয় ডনকে। তা ছাড়া প্রতিদিন কাঁচা ঘাস তো আছেই।
রুবেলের সাথে যোগাযোগের নম্বর ০১৬৩০৮০০৪৬৩
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.