1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

তিন যুগেও নির্মাণ হয়নি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার

শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২
  • ৫৪৮ বার দেখা হয়েছে।

বর্ষার পানিতে ডুবে গেছে বাঁশের সাঁকো। আর এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের বাহেরচর-শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদি ইছামতীর শাখা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা চলাচল করছেন। তিন যুগের বেশি সময় ধরে একটি পাকা সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদি, গরিবপুর, শেরপুর, দাউদপুর এবং বারুয়াখালী ইউনিয়নের বাহেরচর, শংকরদিয়া, ডাক্তারকান্দা গ্রামের লোকজন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এই পথে সাঁকো পার হয়ে শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও শিকারীপাড়া বাজার, দাউদপুর বাজার, হাগ্রাদি বাজার, মসজিদ, ব্যাংক ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই বাঁশের সাঁকোই চলাচলের একমাত্র ভরসা। বর্ষায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন হাজারো পথচারীকে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

বাহেচর এলাকার বাসিন্দা খালেক মাদবর অভিযোগ করেন, কেউ কথা রাখছে না। জনপ্রতিনিধিরাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন। সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘প্রতিবছর এলাকাবাসীর অর্থ আর স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁশের সাঁকো মেরামত করা হয়। এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এটা একটা মরণফাঁদ।’

হাগ্রাদি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখনো এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতু নির্মিত হলেই এলাকাবাসীর জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন সুযোগের সৃষ্টি হবে।

বাহেরচর গ্রামের মো. সুমন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে আসেন ভোট চাইতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন আমাদের যাতায়াতের পথে সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর গ্রামবাসীর খোঁজখবর নেন না।’

শিকারীপাড়া তারাশংকর কালীশংকর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলাকার শত শত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এখানে সেতু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির দিনে বাঁশের সাঁকো ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। বর্ষায় সাঁকোটি তলিয়ে গেলে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা সম্ভব নয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের চলাচল সহজ হবে’।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, ‘সাঁকোটির ব্যাপারে আমার জানা নেই। সাঁকোটির বিষয়ে আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। স্থানীয় এমপি সালমান এফ রহমানসহ উপর মহলে কথা বলে দ্রুত পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর