1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও শামীম আরা নিপা

অমিতাভ অপু
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১১১৮ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নিপা। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সম্মাননা ও স্বীকৃতির স্মারক তুলে দেয়া হয়। শামীম আরা নিপা এর আগে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ২০১৬ সালে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সফলতা এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২০ সালের সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বিবেচনায় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তাদের এ সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মোজাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ ঢাকা বিভাগীর কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। ওই অনুষ্ঠানেই ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে শামীম আরা নিপা’র হাতে স্মারক তুলে দেয়া হয়।

পেশায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও প্রশাসনিক গন্ডির বাইরেও শামীম আরা নিপার জনমুখী বিভিন্ন কর্মকান্ড ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ মহলে সাড়া ফেলেছ। জনবান্ধব একজন কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে স্বীকৃতি ইতোমধ্যেই মেলেছে তাঁর ঝুলিতে। বর্তমানে কর্মরত আছেন সাভার উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসেবে। এর আগে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে থাকাকালীন গরীবের চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। চাল বিতরনের পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে এসেছিলেন একটিমাত্র মোবাইল অ্যাপসে। যে প্রক্রিয়ায় উপকারভোগীরা তাদের হাতে পাওয়া কিউআর কোড সম্বলিত কার্ড দিয়ে নিয়মমতো কিনতে পেরেছেন সরকারের ১০ টাকা কেজির চাল। তাঁর সে উদ্যোগ সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টিতে এলে সরকারিভাবেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় সারাদেশে। এছাড়া করোনার সময় শামীম আরা নিপার উদ্ভাবনী উদ্যোগে বদলে গিয়েছিল কালিহাতি হাসপাতালের চিত্র। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সুরক্ষার পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা অক্ষুন্ন রাখতে হাসপাতালটিতে চালু করা হয়েছিল ডক্টরস সেফটি চেম্বার ও সেফটি কার্ট। যে উদ্যোগটি পরবর্তীতে দেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৬ সালে শামীম আরা নিপার কর্মস্থল ছিল ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। তৎকালীন সময়ে তিনি দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেসময়ে তাঁর হাত ধরেই প্রথমবারের মত দোহারে বদলে গিয়েছিল ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রমের দৃশ্যপট। আলোচনায় উঠে এসেছিলেন বাড়ির আঙিনায় গিয়ে ভূমি সংক্রান্ত কাজের সেবা দিয়ে। তাঁর হাত ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহার উপজেলার মাহমুদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের হতদরিদ্র বাসিন্দারা বাড়ির আঙিনায় বসে করতে পেরেছিল জমির দলিল। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ভূমি কার্যালয়টির পাশে হয়েছিল নতুন ভবন। ভবনের চারপাশ ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল সবুজের সমারোহ, হয়েছিল সেবাগ্রহীতাদের জন্য আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা। সামনে সাঁটানো হয়েছিল ডিজিটাল সাইনবোর্ড, নিরাপত্তা বেস্টনী আর নতুন রঙের প্রলেপে ভবনটিও পেয়েছিল আভিজাত্যের শোভা। তখন শুধু অফিসের চেহারায় জৌলুস আসেনি, সেবার মানেও এসেছিল পরিবর্তন। ভূমি অফিস হয়েছিল দালালমুক্ত একইসাথে সেবার মানেও এসেছিল নতুনত্ব। শামীম আরা নিপার হাত ধরে বদলে যাওয়া সে দৃশ্যপটের ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। সবশেষ ২০২০ সালে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করে সেখানেও পরিবর্তনের ছোঁয়া দিয়েছেন তিনি। সেবা গ্রহীতাদের জন্য বসার স্থান সহ ইউএনও’র সরকারি কার্যালয়টিতে এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। সেখানেও তাঁর হাত ধরে হচ্ছে ব্যতিক্রমী বিভিন্ন কর্মকান্ড। সরকারি বাসা থেকে অফিস প্রাঙ্গণ সবখানেই আসতে শুরু করেছে পরিবর্তন। পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে কার্যক্রমেও।

শামীম আরা নিপা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিশেষ তাগিদ হচ্ছে মাঠপ্রশাসনকে জনবান্ধব হিসেবে তৈরি করা। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি সে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে তাহলেই প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে একইসাথে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে। তিনি বলেন, চেষ্টা করি প্রশাসনিক গন্ডির বাইরেও নিজের অনুধাবন থেকে জনবান্ধব কাজ করার, সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। আমি মনে করি, আমাদের কর্মকান্ডগুলো যদি আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষনীয় হয় তাহলে দেশের অগ্রযাত্রায় তারাও অগ্রপথিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর