ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার বিরোধে ঘুমিয়ে থাকা যুবককে হত্যার অভিযোগ যুবকের ঘাতক বন্ধু ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহতের বন্ধু জহিরুল ইসলাম অপু ও তার সহযোগী মো. রাসেল।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তার ওই দুইজনসহ এজাহার নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পাড় গেন্ডারিয়া কানাপট্টি এলাকায় বুধবার সকালে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মাসুম মিয়া (৩৫) মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার নুরু মিয়ার ছেলে। ওই এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি ডগইয়ার্ডে শ্রমিকের কাজ করতো সে।
নিহতের মামতো ভাই মো. মন্টু মিয়া জানান, সকালে ভাড়া বাসার ২য় তলায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মাসুম। এ সময় তার মা নিচ তলায় ছিলেন। এ সুযোগে অপু ২য় তলার বাসায় ঢুকে ছুরি দিয়ে মাসুমের গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করে মারপিট করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
নিহতের বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অপুর সঙ্গে মাসুমের পূর্ব বিরোধ (ঝগড়া) ছিল। এর জের ধরে সে এভাবে মাসুমকে হত্যা করবে এটা কখনও কল্পনাও করিনি। আমি আমার ভাই হত্যার উপযুক্ত সঠিক বিচার চাই।
ওসি শাহজামান আরও জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্ত চলছে ও গ্রেপ্তার ওই দুই আসামিকে আদালাতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.