1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

কেরানীগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ; কোয়ারেন্টাইনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

আসাদুজ্জামান সুমন। প্রিয়বাংলা নিউজ২৪
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৫৭৩ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ৬৮ বছর বয়সী একব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একারণে ওই উপজেলার দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুটি হলো কেরানীগঞ্জের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জিনজিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল ইসলাম সোহেল রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রিয়বাংলা নিউজ ২৪ কে জানান, আজ (রবিবার) উপজেলার জিনজিরা ইউনিয়নের মডেল টাউন এলাকায় ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যিনি ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন। যেহেতু দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ওই রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন সেহেতু সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার লকডাউন করে সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারসহ মডেল টাউনের পুরো এলাকা লকডাউন করে মোট ১৮২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন তাদের সব ধরণের সহযোগীতা করবে বলে জানান এসিল্যান্ড।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে আইডিসিআরের একটি টিম এসে এ্যাম্বুলেন্সে করে এসে ওই আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়ে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি ডায়াবেটিসের রোগী। এছাড়াও তার বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তিনি গতকাল (শনিবার) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখান থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ (পিজি) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষার ফলাফলে পজেটিভ আসায় আজ দুপুরে আইইডিসিআরের একটি টিম তার বাসভবনে এসে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

ইতোমধ্যে এলাকাটিতে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যানার ও লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মীর মোবারক হোসেন বলেন, ওই এলাকার কেউ যেনো বাহিরে না বের হয় সেজন্য পুরো এলাকার স্বাস্থ্যগত সমস্যা আমরা দেখব। আর অন্যান্য বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন দেখবে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর