1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

এবার কোরবানীর হাট মাতাবে ‘ডন’ ‘ডিগা’

শামীম হোসেন সামন.
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২
  • ৫১৫ বার দেখা হয়েছে।

কোরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন পালন করা বিশালাকার দুটি ষাঁড়। আদর করে নাম রাখা হয়েছে ডন ও ডিগা। ওজন, আকৃতি ও সৌন্দর্য্যে তারা নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। মালিকের আশা এবার কোরবানির পশুর হাট মাতাবে তারা।

ঢাকার দোহারে এবার আলোচনায় রয়েছে ‘ডন ও ‘ডিগা’।। এ গরু দুটি দিয়েই কোরবানির পশুর হাট বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন খামারি আঞ্জুম হোসেন রিপন। উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার আঞ্জুম হোসেন রিপন। শখের বসে দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করেন । কুচকুচে লাল রংয়ের আকর্ষণীয় চেহারার গরুটি দুটির রাখেন ‘ডন’ ও ‘ডিগা’ । বিশাল আকারের দুই ষাঁড়কে মোটাতাজা করে প্রস্তুত করেছেন কোরবানির জন্য।

জানা যায়, ছয় মাস আগে ক্রয় করা শাহিওয়াল জাতের বিশাল ডনের ওজন ১১ মণ । পুরো শরীর লাল সুদর্শন এই ষাঁড় প্রথম দেখাতেই যে কারো নজর কাড়বে। নিজের গোয়ালের এই ষাঁড়ের দাম চেয়েছেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এছাড়া ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা ও ৪ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার ডিগার ওজন এখন ৯ মণ। লাল শরীর, ডিগা অনেক চঞ্চল স্বভাবের। মালিক আঞ্জুম হোসেন রিপন এই ডিগার দাম চেয়েছেন আড়াই লাখ টাকা।

খামারি আঞ্জুম হোসেন রিপন বলেন, আমার এই গরু দুটির মত এতো বড় গরু অত্র অঞ্চলে আর নেই। যদি খামার থেকেই এটিকে বিক্রি করতে পারি তবে আমার খুব সুবিধা হয়।

তিনি আরো জানান, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার খাবার খাওয়াতে হয়। গরু যত্ন, গোসল ও খাবার দেওয়ার জন্য দুইজন লোক রাখা হয়েছে। গরুগুলোকে খাবার হিসেবে নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ঘাষ, খড়কুটা, দেশীয় ফল মুলের পাশাপাশি প্রতিদিন ১০ কেজি করে দানাদার খৈল, ভুট্টো, ছোলা, গমসহ নানা খাবার দেওয়া হয়।

মাহমুদ এলাকার আলেব মোল্লা বলেন, গরু দুটি বড় করতে আঞ্জুম হোসেন রিপন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। প্রতিদিন অনেক লোক আসে এই গরু দেখতে। আমরা সবাই চাই গরু দুটি যেন নায্য দামে বিক্রি করতে পারেন।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর