সম্পূর্ণ কালো রঙের ষাড় দুটি শখ করে কালা ও বোল্ট নামে ডাকেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পুরাতন বান্দুরা এলাকার বান্দুরা এগ্রোর খামারী সাঈদ টুটুল। কুরবারিন ঈদকে সামনে রেখে গরু দুটি ভালো দামে বিক্রির অপেক্ষায় দিন গুণছেন তিনি ।
শাহীওয়াল জাতের ষাড় দুটি সাধারণ মানুষজনের নজর কাড়ছে। খামারী ষাড় দুটি দাম হেঁকেছেন একেকটি সাত লাখ টাকা করে। তিনি দাবি করেন উপজেলার মধ্যে তার ষাড় আকার আকৃতিতে সবচেয়ে বড়।
জানা যায়, দুই বছর আগে শাহীওয়াল এই জাতের ষাড় কালাকে রাজশাহীর সিটি হাট থেকে ও বোল্ডকে কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর হাট থেকে ক্রয় করেন। সেই থেকে কুরবানির জন্য নিজের খামারে রেখে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন তিনি। খামারে কুরবানির জন্য আরো ষাড় থাকলেও কালা ও বোল্ট একটু আলাদা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বেড়ে উঠছে তারা। পরম যতœ করে লালন পালন করা ষাড় দুটি উচ্চতা পাঁচ ফুটের উপরে এবং ফিতার মাপে ওজন ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার কেজি।
সাঈদ টুটুল জানান, অনেক যতœ করে কালা ও বোল্ডকে তিনি কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার ইচ্ছা করোনার লকডাউনের কারণে বাড়িতে রেখেই বিক্রি করবেন। সামনে করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তারপরও সবমিলিয়ে ভালো দামের প্রত্যাশা করেন তিনি।
টুটুল জানান, অনেকে দরদাম করছে তবে সন্তোষজনক দাম পেলে ষাড় দুটিকে ছেড়ে দিবেন। তিনি জানান বর্তমানে একটি গরুকে কুরবানির জন্য প্রস্তত করা অকেটাই কষ্টসাধ্য। তারপরও কৃষক পর্যায়ে অনেকেই লালন পালন করে থাকেন। যাতে বিক্রি করলে একসাথে অনেকগুলো টাকা পাওয়া যায়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা খামারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফি সিকদার জানান, সাঈদ টুটুল একজন সৌখিন খামারী। সে তার খামারের পশুদের যেভাবে যতœ নেন যা অন্য খামারীদের চেয়ে ব্যতিক্রম। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সে তার খামারের পশুকে পরম যতেœর সাথে লালন পালন করে থাকেন। বাড়িতে থেকে আগ্রহী ক্রেতারা কিনতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৫২২২৯৬৩ নম্বরে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.