1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

সিনিয়র প্রতিবেদক:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ২০৫ বার দেখা হয়েছে।

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে ঈদ আনন্দ ছিল ঘরবন্দী। নিষেধাজ্ঞা, লকডাউনে সবাই যেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন বেড়াজালে। ঈদের কেনাকাটায় ছিল আতঙ্কের ছাপ।

তবে সব ভুলে এবার ঈদের আনন্দ যেন মুক্তবিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছে মানুষের মনে। তারই ছাপ পড়েছে দোহার ও নবাবগঞ্জের বিপণিবিতানগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে বেশির ভাগ মার্কেটে।

দুই বছর পর মার্কেটে এমন জনসমাগম দেখে বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বিক্রি বেড়েছে অনেক গুণ। তবে গত দুই বছরের ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেই আশঙ্কা আছে অনেকের মনে।

দীর্ঘ লকডাউনে পুঁজি হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন। অনেকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন। এমনি অনেক আশা, প্রত্যাশা এবং হতাশা থেকে মুক্তির উৎসব বলে মনে করছেন এবারের ঈদকে।

বাগমারা বাজারের পোশাক বিক্রেতা মো. প্যারিস বলেন, বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ঈদকে কেন্দ্র করে তাঁদের ব্যবসার কৌশল ঠিক করে থাকেন। কারণ, সারা বছর যা বিক্রি হয়, তাতে অনেকের দোকান খরচ ওঠানোই দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাঁদের দুই ঈদ, পূজা ও পয়লা বৈশাখের বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হয়। দুই বছর ঠিকমতো ব্যবসা করতে না পেরে অনেকেই ঋণের জালে আটকা পড়ে গেছেন।

হাজি আত্রাব ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. আরিফ বলেন, ক্রেতারা বেশির ভাগ বিভিন্ন দিকে ছুটছেন। ঢাকা কাছে হওয়ায় অনেকে ঢাকা যাচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা দোহারে যাচ্ছেন অনেকে। পাড়া-মহল্লার দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি কম।

বাগমারা বাজারের মাসুম শু স্টোরের মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘গত দুই বছর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আঁকড়ে ধরে বসেছিলাম, যা বিক্রি হতো, তাতে কোনোরকম খেয়ে-পরে ছিলাম।’

মো. মাসুম আরও বলেন, ‘খাতা-কলমে বিক্রি বেড়েছে, তবে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বুঝতে পারছেন না, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার যা বিক্রি করতাম ৫০০ টাকায়, এবার তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। টাকার পরিমাণ বাড়লেও ক্রেতা বাড়ছে না। এবার মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পণ্য কেনার পরিমাণ একটু কমেছে। অনেকেই একটু কম দামে জুতা চাচ্ছেন। অনেকে দেখে, দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। বুঝতে পারছি তাদের অসংগতির বিষয়টি।

আরেক ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বাচ্চাদের পোশাক কিনে বাজেট শেষ। নিজেদের জন্য কিছু নিতে পারব কি না, এখনো নিশ্চিত না। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে পারছি না।’

তবে দর্জিপাড়ার ভিড় যেন একটু বেশি। কথা বলার সময়টুকু পাচ্ছেন না কাজের চাপে। বাগমারা বাজারের দর্জি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানদারেরা তৈরি পোশাক বিক্রি করেন, আর আমরা কাপড় থেকে নতুন পোশাক তৈরি করি। তার চেয়ে বেশি ঝামেলা হচ্ছে প্রোডাকশনের তুলনায় বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছি। এখন দিনরাত কাজ করে ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বাগমারা বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেন্টু বলেন, ‘অনেক দিন পর বাজারে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা ফিরেছেন তাঁদের নিজের ছন্দে। মূলত একটা বাজারের প্রাণ হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি। গত দুই বছর নানা নিয়মের জালে আটকা ছিল ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। সবকিছুর পর আবার বাজার কর্মচঞ্চল হয়েছে, এতেই আমরা খুশি। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর