1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

ক্রেতার আগ্রহ ‘কাঁচা বাদাম’ পোশাকে

শামীম হোসেন সামন.
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮২৩ বার দেখা হয়েছে।

দিন যত যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর তত ঘনিয়ে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহারের বিভিন্ন বিপণি-বিতানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদবাজার। বিপনি বিতারগুলো রকমারি ডিজাউন ও বাহারী রঙ্গের দেশী-বিদেশী কাপড়ের পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে।বিভিন্ন বয়সীর পণ্যে ঢেলে সাজানো মার্কেটগুলোতে বেড়েছে নানা বয়সীর ক্রেতাদের সমাগম। এরই মধ্যে নারী ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ‘বাঁচা বাদাম’ নামে থ্রি-পিস। অনেকে আবার পছন্দের প্রথমে রয়েছে পুষ্পা। ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত দাম রাখছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিনে নবাবগঞ্জে বাগমারা, বান্দুরা, বারুয়াখালী, শিকারপাড়া এবং দোহারের জয়পাড়াসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘুনিয়ে আসছে বিপণি-বিতানগুলোতেও ক্রেতার সমাগম বাড়ছে। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দনীয় নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। বিপনি বিতান দোকানগুলোতে মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, জামদানি ও কাতান শাড়িসহ থ্রি-পিস, লং-থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা, ছিট-কাপড় এবং ছেলেদের পাঞ্জাবী, পাজামা, ফতুয়াসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টি-শার্ট, প্যান্ট বিক্রি করছেন। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাহারি পোশাকের মধ্যে ক্রেতারা আগ্রহ কাঁচাবাদাম, পুষ্পা, ইন্ডিয়ান সাহারা জর্জেট, ডাইমন্ড, বিনয়, লাচ্ছা, বিবেগ, লংস্কার্ট, পাখি-লেহেঙ্গা, ঐশ্বরিয়ার, অলগাঞ্জা পোশাকের প্রতি। ঐসব ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ছেলেদের টুপি এবং আতরের দোকানেও ভিড় বেড়েছে।

পাশাপাশি দর্জির দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। এক সপ্তাহ আগেই থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন দর্জিরা।
উপজেলার বান্দুরা সিজান মাল্টি শপিংমলে মার্কেটে ঈদবাজার করতে আসা নাছরিন সুলতানা নিলা বলেন, গত দুই বছর পুর্বে ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। এবারের ঈদকে আর মিস করতে চাই না। সেই জন্য রোজার মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ শপিং করতে এসেছি। চলতি সপ্তাহে নিজের ও আত্মীয়স্বজনের জন্য শপিং শেষ করতে চাই। কারণ শেষদিকে গিয়ে অনেক ভিড় হয়।

সেখানে আরেক ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্যবছরের তুলনায় এ বছর ঈদেও সকল জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু কি আর করার আছে। ঈদে কিছু কেনাকাটা করা দরকার ছিল, তাই মার্কেটে এসেছি। এখন কিছু কাপড় কিনব আর ঈদের শেষমুহুর্তে আরও কিছু কাপড় কিনব।

বারুয়াখালী বাজারের মা বস্ত্রালয়ের মালিক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিত্য-নতুন ডিজাইনের মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, জামদানি ও কাতান শাড়িসহ থ্রি-পিস, লং-থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা, ছিট-কাপড় গ্যাবাডিং-প্যান্ট, হাফ শাট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর ৬শ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহুর্তে বেচাকিনা অনেক ভালো হয়।

উপজেলার বান্দুরা শাহাবুদ্দিন মার্কেটের ইউনিক ব্রাদার্সের স্বত্বাধীকারী আলতাফ হোসেন বলেন, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে কেনাবেচা তেমন হয়নি। কিন্তু এবার রমজানের মাস শুরু থেকেই বিক্রি অনেক বেড়েছে। ছেলেদের প্যান্ট আর নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। আশা করছি, এই ঈদে বেচাবিক্রি অনেক ভালো হবে।

এদিকে উপজেলার বারুয়াখালী গহের মার্কেটের ইয়াসরিব কসমেটিক্স স্বত্বাধীকারী মেখ রাজিব বলেন, সারাবছর কম-বেশি কসমেটিক্স বিক্রি হয়, তবে এই ঈদকে কেন্দ্র করে বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী ও মধ্যম বয়সী মহিলা ক্রেতারা আসছেন কসমেটিক্স কিনতে। সব মিলিয়ে বেচাকেনা দিন দিন বাড়ছ। ক্রেতারা সাধ্য অনুযায়ী যে যার মত কসমেটিক্স কেনাকাটা করছেন ।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা জনগনের জান-মাল রক্ষার জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন বিপনি-বিতান দোকানগুলোতে এবং গুরুতপূর্ণ স্থানসহ বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে কালাই থানা পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর