1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
July 27, 2024, 12:22 am

বাঁশের সাঁকোই পারাপারের ভরসা

শামীম হোসেন সামন.
  • Update Time : Monday, February 28, 2022
  • 562 Time View

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল-বকচর গ্রামে ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা চলাচল করছেন। তিন যুগের বেশি সময় ধরে একটি পাকা সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগে পোহাচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিকারীপাড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর, সুজাপুর, শেরপুর এবং নয়নশ্রী ইউনিয়নের নতুন ও পুরান তুইতাল, বকচর, বরইচড়া, আফজালনগর, চর শৈল্যা, তাশুল্লা, বাংলাবাজার, বিলপল্লী এবং বারুয়াখালী ইউনিয়নের কাউনিয়াকান্দি গ্রামের লোকজন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া সাঁকোটি পার হয়ে তুইতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বকচর উচ্চবিদ্যালয়, তুইতাল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও তুইতাল বাজার, মসজিদ, তুইতাল গির্জা, ব্যাংক ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।বাঁশের সাঁকোই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। বিশেষ করে বর্ষায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন পথচারীকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

তুইতাল এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, কেউ কথা রাখছে না। জনপ্রতিনিধিরাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন। সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।

বকচর গ্রামের আব্দুল ওহাব বলেন, এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এটা একটা মরণফাঁদ।

কাউনিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখনো এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতু নির্মিত হলেই এলাকাবাসীর জন্য যাতায়াতব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন সুযোগের সৃষ্টি হবে।

বকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজিব দাস বলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলাকার শত শত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এখানে সেতু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির দিনে বাঁশের সাঁকো ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে বেশ কিছু ছাত্রী নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে না। এমনকি ছাত্রীরা বাঁশের সাঁকো পারাপারের ভয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে।

তুইতাল গ্রামের মোস্তফা কামাল বলেন,‘ নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে আসেন ভোট চাইতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন আমাদের যাতায়াতের পথে সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর গ্রামবাসীর খোঁজখবর নেন না।’

নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সাঁকোটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। আশা করছি, শিঘ্রই দরপত্র আহবানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, আমি নতুন এসেছি। স্থানীয় এমপি সালমান এফ রহমানসহ উপর মহলে কথা বললে দ্রুত পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category