1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
July 27, 2024, 3:33 am

নবাবগঞ্জে জাকির হত্যা মামলার আসামী দেড় বছর পর গ্রেফতার

সিনিয়র প্রতিবেদক.
  • Update Time : Saturday, March 12, 2022
  • 1010 Time View

নবাবগঞ্জের মোটর সাইকেল চালক হত্যা মামলার মূল আসামি জাকির হোসেন ওরফে জঙ্গি জাকিরকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। শুক্রবার মধ্য রাতে নিজ বাসা থেকে জাকিরকে পিটিআই’র একটি টিম আটক করেছে।

নিহত মোটর সাইকেল চালকের ছেলে মো. হৃদয় হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আজ রাতে পিবিআই আমার পিতার হত্যাকারী জাকিরকে আটক করেছে।

পিবিআই এর উপ পরিদর্শক মো. ইমরান গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকির এই মামলার এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি। মামলার এজাহার অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত আসামি খাদ্য দ্রব্যর সায়থে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধানে তার নিজ বাসা থেকে আটক করেছে।

এর আগে ২০২০ সালের ২রা অক্টোবর নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর সৈল্যা এলাকার মোটরসাইকেল চালক মো. জাকিরকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি তাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে চর শৈল্যার জাকিরের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। জাকির ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

নিহতের পিতা বলেন, আমার ছেলেকে ফোনে কল করেন স্থানীয় সফিক । ফোন পেয়ে আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেন সফিকের বাড়ির দিকে। কিছুক্ষণ পর ছেলের মুঠোফোনে কল দিলে আর সংযোগ পাইনি। পরে বিকালে ওয়ার্ড মেম্বার আমাকে জানান, জাকির অসুস্থ অবস্থায় শফিকুলের বাড়িতে পড়ে আছে। আমি গিয়ে জাকিরকে শফিকের ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। আরো দেখতে পাই তার শরীরে বালু মাখানো ছিল। পরে শফিকুলের বোন ঘরের দরজা খুলে জাকিরের শার্ট এবং মোটরসাইকেলের চাবি দেয় আমাকে।

নিহতের ঘটনায় ২০২০ সালপ পুরান তুইতালের মো. রহিমের ছেলে শফিক (৪০) ও আফজাল নগরের মৃত শফি উদ্দিনের ছেলে মো. জাকির (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী মোকসেদা বেগম নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামি শফিক মোবাইল ফোনে জাকিরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জাকিরকে নেশা জাতীয় বিষাক্ত দ্রব্য পান করিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় বসত ঘরের সামনে ফেলে রাখে। বিকেলে শফিকের প্রতিবেশী সজীব তালুকদার নিহতের পিতা আবুল কালামকে শফিকের বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় আবুল কালাম সন্তানকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য উপস্থিত জুয়েল মাস্টার ও মামলার আসামি জাকিরকে সাহায্যের জন্য অনেক অনুরোধ করেন। কিন্ত তারা সাহায্য না করে উল্টো নিহতের পিতাকে হুমকি ধামকি দিয়ে তার কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর রাখেন। এরপর ১লা অক্টোবর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির মারা যান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category