1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে ‘ভাঙা সেতু’ নিয়ে ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

শামীম হোসেন সামন। প্রিয়বাংলা নিউজ২৪
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ৭৮৯ বার দেখা হয়েছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের একটি ‘ভাঙা সেতু’ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে সেতুৃতে নেই রেলিং, বেরিয়ে পড়েছে রড। ফাটল ধরেছে পিলার ও মূল সেতুতে। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারের বা পুন:র্নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ছয় মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ সেতু থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানায়, তৎকালে মূলত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও পরবর্তী নির্বাচনে ভোট টানার কৌশল হিসেবে ২০০২ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের মাত্র ৬ বছরের মাথায় সেতুর দু’পাশের রেলিং ধীরে ধীরে খসে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের সময় নিম্মমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রেলিং ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এর সংস্কার করা হয়নি। এরপর বিভিন্ন নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা শত আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর তা কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হলেও জনপ্রতিনিধিরা নির্বাক।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছত্রপুর, করপাড়া, ভাঙ্গাপাড়া, জৈনতপুর, দীর্ঘগ্রাম ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঘোষাইল সহ ১০টি গ্রামের লোকজন এ ব্রিজটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ হাজার লোক ঝুঁিকর মধ্য দিয়ে চলাচল করে। বিকল্প সড়কের দূরত্ব বেশি হওয়ায় ইাজবাইক, ভ্যান ও রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী ও মালামালসহ এই ব্রিজটি দিয়েই যাতায়াত করে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ মানুষজন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, যখনই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় এর কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তখনকার প্রভাবশালীদের ভয়ে কিছুই করা যায়নি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এত টাকা খরচ করে ব্রিজ নির্মাণ করা হলো অথচ নিম্মমাণের সামগ্রী দিয়ে। অতি দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার না করলে যদি সম্পূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে যায় তাহলে স্থানীয়রা অনেক বড় সমস্যায় পড়ে যাবে।

বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ইয়াছিন খাঁন বলেন, ব্রিজটি পার হওয়ার সময় আমরা খুব আতঙ্কে থাকি।

এব্যাপারে বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আরিফুর রহমান শিকদার বলেন, ব্রিজের পাশের রাস্তা কাপেটিং এর কাজ চলছে। এই ব্রিজটি ভেঙে নতুন বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর