ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নিহত জাকির হত্যায় জড়িত আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের শৈল্যা তিন ব্রিজ এলাকায় বড় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারা এ মানববন্ধন করেন। এতে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনে কান্না জড়িত কন্ঠে নিহত জাকিরের বৃদ্ধ মা পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ বাবারা, আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। আজ যদি আমার জায়গায় আপনার মা থাকতো, তখন কি করতেন? আমারে যারা সন্তান হারা করেছেন, তাগো আটক করেন।
জাকিরের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমরা এখন জীবিত থাকতেও মৃত। আসামি শফিক ও জাকির আমার ছেলেকে বাসায় ডেকে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য সামগ্রী খাইয়ে মারধর করে শফিকের বসত বাড়িতে ফেলে রাখে। ওরাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।এখনো কোনো আসামি ধরা পড়েনি। আসামি জাকিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। হত্যা করেও ওরা প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে। আমরা গরিব বলে কি বিচার পাব না ?
৫ম শ্রেণীর ছাত্রী জকিরের মেয়ে লামিয়া বলেন, আমার বাবা কি দোষ করেছিলো যে তাকে হত্যা করল। আমি আমার বাবার হত্যাকরীদের শাস্তি চাই।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নে চর শৈল্যা গ্রামে ডেকে নিয়ে নেশা জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ জাকিরের পরিবারের। পরের দিন ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকির হোসেন। জাকিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় ১০দিন পর পুলিশ জাকিরের স্ত্রীকে বাদী করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা নেয়। মামলায় আসামী করা হয় পুরান তুইতালের মো. শফিক ও আফজালনগরের মো. জাকিরসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে। ঘটনার এক মাস দুইদিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।