1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
July 27, 2024, 4:07 am

নবাবগঞ্জের মা ও শিশু হাসপাতাল: নির্মাণ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষায় বছর পার

শাহিনুর রহমান ও আলীনূর ইসলাম মিশু :
  • Update Time : Thursday, October 7, 2021
  • 1140 Time View

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের তেলেঙ্গার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসাসেবা দিতে না পারলে কার স্বার্থে সরকার ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করলেন এ হাসপাতাল।

সরেজমিন দেখা যায়, তেলেঙ্গা গ্রামের বড় রাস্তার পাশে ৫২ শতক জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে হাসপাতালটি। দু’তলা হাসপাতাল ভবনের পাশে রয়েছে ফ্যামিলি কোয়ার্টার। চারিদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা প্রবেশ পথে রয়েছে নিরাপত্তা ফটক। ভিতরে রোগীর কক্ষে বিছানা বালিশ দিয়ে সাজানো থাকলেও নেই রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট কক্ষ ও অন্যান্য কক্ষগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা যায়, কাগজ-কলমে হাসপাতালটিতে থাকার কথা চিকিসক ২ জন, মেডিকেল টেকনোলজি ১ জন, নার্স ২ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ৪ জন, ফার্মাসিস্ট ১ জন, অফিস সহকারী ১ জন, আয়া ১ জন, ড্রাইভার ১ জন, পিয়ন ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী ১ জন। কিন্ত বর্তমানে ১ জন চিকিৎসক, ১ জন দায় নার্স, ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ১ জন আয়া দিয়ে সপ্তাহে দুই দিন খোলা রাখা হয় হাসপাতালটি।

জমিদাতা বাহাদুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ এলাকার মানুষের সেবার জন্য আমরা ৫২ শতক জমি দিলাম। অনেক দিন ধইরা হাসপাতাল বন্ধ রইছে কবে চালু অইবো জানি না। রোগীরা আহে আর ফেরত যায়। লাভ কি অইলো আমাগো এতগুলি জমি দিয়া মানুষের যদি কোনো কামে না লাগে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মাফজুল ইসলাম বলেন, রোগীরা আসেন; কিন্তু হাসপাতাল বন্ধ দেখে ফেরত যান। ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই। সরকারের উচিত হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। করোনার কারণে উদ্বোধন করতে পারছি না। আশা করি খুব শিগগিরই উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হাসপাতালের যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল প্রতিদিন খোলা থাকে জরুরি ভিত্তিতে ডেপুটেশনে ১ জন ডাক্তার, ১ জন নার্স ও ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিয়ে চিকিৎসাসেবার কাজ চালানো হচ্ছে। তাছাড়া সেখানে সারাক্ষণ একজন নিরাপত্তা প্রহরী র্কর্মী রয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category