ঢাকার নবাবগঞ্জে ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিন উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের বড়গাও গ্রামের নিরীহ মুসল্লীদের উপর খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী বরকতল্লার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে ও তাদের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা করেছে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ বাংলাদেশ নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিটি। বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। পরে নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হায়াত মাহমুদ জাকির তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের বরকতুল্লার অনুসারীরা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেদের প্রচারণা ও লেখনির মাধ্যমে খতমে নবুওয়াতের মৌলিক আকীদার বিরোধীতা করছে। তারা প্রকাশ্যে ওহির দরজা বন্ধ হয়নি বলে দাবী করছে যা সরাসরি কোরআন-সুন্নাহ এবং ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী। তাদের কথিত নেতা বরকতুল্লাহকে তারা “প্রত্যাদিষ্ট” ঐশ্বরিক মীমাংসাকারী এমনকি আসমানী মীমাংসাকারী বলে আখ্যায়িত করছে। এর অর্থ দাড়ায় তাকে নবীর মর্যাদা প্রদান করা যা নঈমান বিধ্বংসী বক্তব্য এবং সুস্পষ্ট কুফরী। এটি খতমে নবুওয়তের মৌলিক আকীদাকে চ্যালেঞ্জ করার ধৃষ্টতা।
মুফতি হায়াত মাহমুদ তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন অতীতে এরা একাধিকবার তাওবা করে ফের একই ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্তিকর, ঈমান ধ্বংসী এবং দেশীয় আর্ন্তজাতিকভাবে ইসলামের ভাবমূর্তী ক্ষুন্নকারী।
তিনি আরও বলেন, আমরা খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ, নবাবগঞ্জের পক্ষ থেকে সরকার. আইন-শূঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ সময় তারা বরকতুল্লাহ অনুসারীদের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ বাংলাদেশ কমিটির আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর। খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ সহসভাপতি মাওলানা নুরুল হক হাশেমী নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাশেমী, সহসভাপতি মাওলানা নুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি সালাউদ্দিন, দোহার উপজেলার মাওলানা হাফেজ আবদুর রহিম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তপন মোল্লা, মোর্শেদ মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন ওলামায়েকেরামগণ।
মন্তব্য করুন