নিখোঁজের পাঁচদিন পর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শাহ আলম (৬৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের পর মরদেহ উদ্ধার করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহ আলম পাশ^বর্তি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা পশ্চিমপাড় এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তবে নিহত আলমের বড় মেয়ে লাকির দাবি তার বাবাকে প্রতিবেশীরা খুন করে লাশ গুম করেছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল গ্রামের রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পরে ছিল। স্থানীয়রা এ বিষয়টিতে শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে গত ২ এপ্রিল অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহ আলম। পরে তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে। সন্ধান না পেয়ে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন।
শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক তাইজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেলে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে চালককে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে খারশুল এলাকায় ফেলে রেখে গেছে। দুই এপ্রিল থেকে অটোরিকশা চালক শাহ আলম নিখোঁজ ছিলেন। এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যেহেতু নিখোঁজ সাধারন ডায়েরি হয়েছে, সে থানায় মামলা দায়ের হবে।
আলমের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন সহজ-সরল মানুষ। ঈদের আগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে একটি অটোরিকশা কিনেছে। সে কারো এলেমেলে নেই, তার মতো মানুষকে যারা খুনে করেছে তাদের সঠিক বিচার ফাঁসি চান তিনি। তার দাবি দু’পায়ের রাস্তার জন্য প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ ছিল। তারাই মো. শাহ আলমকে মেরে গুম করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে নিহতের বড় মেয়ে লাকি আক্তার বলেন, আমাদের বাড়ী থেকে বেড় হওয়ার জন্য দু’পায়ের রাস্তার জন্য প্রতিবেশী আনসেস ও কালুর সাথে কিছুদিন আগে আমার বাবার ঝগড়া হয়েছিলো। আমাদের সন্দেহ আমার বাবাকে তারাই খুন করে লাশ গুম করে রেখেছিল। শনিবার রাতে খারশুল চকে লাশ ফেলে গেছে। কারণ শুক্রবার সারাদিন ঐ চকসহ দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের সকল চক, বিল খোঁজেছি কিন্তু কোথাও আমার বাবার আহত বা নিহত লাশ দেখিনি। আজ রবিবার বা শনিবার রাতের কোন এক সময় তারা এ লাশ এখানে ফেলে রেখে গেছে খুনিরা। আমরা এ খুনের সঠিক বিচার ফাঁসি চাই। এদিকে, অভিযুক্ত প্রতিবেশী আনসেস ও কালুর বাসায় দিয়ে তাদের ঘরে তারা ঝুঁলানো দেখা গেছে। তাদের সাথে মোবাইলেও যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন