ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এক বাক- প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই স্বপন সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত লতা সরকার (৩৫) উপজেলার কলাতিয়া সাধুপুর এলাকার রতন সরকারের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার কলাতিয়া সাধুপুর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যার একটু আগে নিজ বাসার সামনে থেকে এক ব্যক্তি ফুসলিয়ে লতাকে কদমতলী এলাকায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে তার শরীর আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে রাতে থানা পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়ার আগে দগ্ধ অবস্থায় লতা পুলিশের কাছে আকার-ইঙ্গিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন বলে দাবি করেন নিহতের পরিবার।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নারীর শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ওসি শাহ্ জামান বলেন, জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সুভাঢ্যা চিতাখোলা সাবান ফ্যাক্টরির পাশ থেকে ভুক্তভোগীকে সোমবার রাতে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা রয়েছে।
দগ্ধ করার আগে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়টি তো আমার বলতে পারবো না চিকিৎসক বলবেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.