ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আলীনগর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই জনী আলী ও ভাবীর লিজার বিরুদ্ধে ছোট ভাই জিমি আলী (৩০) কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জিমি আলী।
নিহত জিমি আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের আলী নগর এলাকার মৃত তাহের আলীর ছোট ছেলে। তার স্ত্রী ও ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, বড় ভাই জনি আলী ও ছোট ভাই জিমি আলীর মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তির জেরে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। গত রবিবার রাত ১২ টার দিকে রাতের খাবার শেষ করে ঘমাতে যান জিমি ও তার স্ত্রী। হঠাৎ রাত সাড়ে ৩টার দিকে জানালার পর্দায় আগুন দেখে নিভাতে যায় জিমি। এসময় পাশের বাসায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বড় ভাই জিমি ও তার স্ত্রী লিজা আগুন লাগানো একটি মোট কাঁথা জিমির দিকে ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই জিমি মারাত্মকভাবে আগুনে দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা জিমিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে সেখান থেকে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় গত মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী পপি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে এরপর থেকে বড় ভাই জিমি ও তার স্ত্রী লিজা পলাতক রয়েছে।
নিহত জিমির স্ত্রী পপি আক্তার বলেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুঁড়িয়ে মেরেছে ওর বড় ভাই জিমি ও তার স্ত্রী লিজা। ওদের সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
জিমির মা ডলি বেগম বলেন, সম্পত্তির লোভে জনি ও তার স্ত্রীর লোকেরা আমার ছোট ছেলে জিমিকে আগুন লাগিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের যথাযথ আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
এবিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান জানান, এঘটনায় দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। আসামীদের পালিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.