বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা পারাপারের সময় নৌকার মাঝি ও যাত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নৌকার বৈঠার আঘাতে সোহরাব সিকদার (৫০) নামে এক মাঝি নদীতে পরে নিখোঁজ হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা খোঁজাখুজির পর বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মাঝির মরদেহ উদ্ধার করে বরিসুর নৌ-পুলিশ। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) রাত ৯ টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঘাতক যাত্রী মনির হোসেনকে (৩২) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত মাঝি মাদারীপুরের শিবচর থানার শিকদার কান্দি গ্রামের নিয়ামত শিকদারের ছেলে।
নিহত মাঝির মেয়ের জামাই মোঃ সেলিম খান জানান, মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে তার শশুর নলগোলা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ঘাট এলাকায় আসতেছিল। নৌকা বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ বরাবর আসলে যাত্রী মনির হোসেন নৌকার সিগন্যাল লাইটের উপর বসে। তার শশুর সেই যাত্রীকে সিগন্যাল লাইট থেকে সরে বসতে বললে, যাত্রীর সাথে শুরু হয় ঝগড়া। ঝগড়ার এক পর্যায়ে যাত্রী মনির হোসেন নৌকার বৈঠা কেড়ে নিয়ে তার শশুরের মাথায় আঘাত করে। এতে সাথে সাথে সোহরাব পানিতে পরে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ ৩ ঘন্টা খোঁজাখুজির পর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাধে গ্রেপ্তারকৃত মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে, বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাই মোঃ সেলিম খান বাদি হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.