ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কুরবানির মাংস আনতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে তের বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও কয়েকজন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন ঝিলমিল হাসপাতালের বিপরীতে আবুল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আকাশ (১৩)। তার পিতার নাম ঠান্ডু মিয়া। সে পেশায় একজন রিকশাচালক ও চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার দিবা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ বছর কুরবানি দেওয়ার জন্য আবুল নয়টি গরু কিনে মঙ্গলবার সকালে জবাই করে। বিকেলে এ মাংস নেওয়ার জন্য বাড়ির প্রধান ফটকে অসংখ্য লোকজনের সমাগম হয়। একপর্যায়ে প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হলে অসংখ্য লোক তাড়াহুড়ো করে ভিতরে ঢুকতে গেলে সেখানে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ওই কিশোরসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আকাশের মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত সহকারি আনসার কমান্ডার জহিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার একটু আগে শিশু, কিশোরসহ বেশ কয়েকজনকে কেরানীগঞ্জ থেকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে একটি ছেলে মারা গেছে বাকি কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। নিহত ছেলেটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি কুরবানির গোশত আনতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে তাদের এ অবস্থা হয়েছে।
আবুল মিয়ার ছেলে রিয়েল মিয়া জানান, ঈদের তৃতীয়দিন তারা গরীব অসহায়দের জন্য বড় বড় নয়টি গরু কোরবানি করেন। কোরবানির মাংস নেওয়ার জন্য কয়েক হাজার লোক বাড়ির সামনে জড় হলে এক সময় মেইন গেট খুলে দেওয়া হয়। এসময় হুড়োহুড়ির মধ্যে পদদলিত হয়ে একজন মারা গেছেন ও শিশুসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহজামান জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। তবে এখনও এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.