ঢাকার কেরানীগঞ্জের মালদ্বীপ প্রবাসী রাজন মন্ডল (৩২) কে শ্বশুরবাড়িতে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছে রাজনের পরিবার। হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার(৭ই জুলাই) বিকেলে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গোবিন্দপুর এলাকায় রাজনের নিজ বাসভবনে লাশটি এসে পৌঁছালে এলাকাবাসী এই বিক্ষোভ মিছিল করে। বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রাম থেকে হাত বাধা ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজন মন্ডলের শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৭জুলাই) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
রাজন মন্ডলের বড় ভাই সমীর মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, মাত্র এক মাস আগে সিরাজদিখানের চিত্রকোট ইউনিয়নের বোয়ালখালী গ্রামের অজিত মন্ডলের মেয়ে পূর্ণিমা মন্ডলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারে রাজনের পারে স্ত্রী পূর্ণিমার সাথে অন্য কারো সম্পর্ক আছে। সেদিন থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল, তাই পূর্ণিমা বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল। গত রবিবার পূর্ণিমার খালাতো ভাই পার্থ মন্ডল রাজনকে বেড়ানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে করে পূর্নিমার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার সকালে মুঠোফোনে পার্থ জানায়, রাজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছ। নিহতের বড় ভাই দাবী করেন আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাÐ। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
রাজনের পিতা নিত্য গোপালের দাবী, পার্থ মন্ডল তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। রাজনের মা বলেন, অন্য ছেলের সাথে পূর্নিমার সম্পর্ক ছিল তারা তা জানত না।
জানা যায়, রাজন মন্ডল ৬/৭ মাস পূর্বে মালদ্বীপ থেকে আসে। বড় ভাইকে বিয়ে করিয়ে তিনিও বিয়ে করেন। রাজন বিদেশে একটি এসির দোকান জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। তিনি আগামী মাসে মালদ্বীপ যাওয়ায় কথা থাকলেও রাজনের শেষ পরিনতি হয় শশ্বান। এলাকাবাসীর রাজন হত্যায় জড়িতদের সঠিক দাবী করেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.