1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালা • PRIYOBANGLANEWS24
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:১৪ অপরাহ্ন

হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালা

রির্পোটারের নাম :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ২৫৩ বার দেখা হয়েছে।

হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠেছে ঢাকার নবাবগঞ্জের কামারের দোকানগুলো। সকাল থেকে রাত অব্দি চলছে নতুন- পুরাতন দা-বটি ছুরি, চাপাতি তেরি বা শাণ দেয়ার কাজ। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে তাদের এ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।

যারা পশু কোরবানি দেন তাদের মাংস প্রস্তুত করতে এসব দা-বটি ছুরি, চাপাতি প্রয়োজন। তাই অনেকে এ উপলক্ষে নতুন করে দা-বটি ছুরি, চাপাতি কিনছেন আবার কেউ কেউ পুরাতনগুলোতে শাণ দিয়ে নিচ্ছেন। তাই ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। বাড়তি কিছু রোজগারের জন্য বছরের এ সময়গুলোর প্রতীক্ষায় থাকেন কামারেরা। অনেকে বাড়তি চাপ সমাল দিতে নতুন কর্মচারী নিয়েছেন। দোকানগুলোতে এখন প্রতিক্ষণই চলছে ওই সবসামগ্রী আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া, হাতুরি দিয়ে পেটা করে তেরি ও শান দেয়ার কাজ।

উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর ও বান্দুরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। কোরবানির ঈদের আগে ৪/৫ জন লোক নিয়ে কাজ করছেন কামারপল্লীতে।। বারুয়াখালী বাজারের বিশ্বনাথ কর্মকার নামের এক দোকানী জানান, আগে কোরবানী ঈদ আসলেই কাজের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই বিক্রির আশায় অনেক মালামাল বানিয়ে রেখেছি।

ঘোষাইল বাজারের সুনীল কর্মকার বলেন, বছরের অন্য সময়গুলোতে টুকিটাকি কাজ থাকে। কোরবানিকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন যাবত কাজের চাপ কিছুটা বাড়ছে। এরজন্য তিনি তার নিয়মিত দুই জন কর্মচারীর পাশাপাশি আরো তিন কর্মচারী রখেছেন। এখন সকাল থেকে দোকানে রাত গভীর রাত পর্যন্ত কাজ চলে। অন্যান্য কোরবানির ঈদের চেয়ে এখনো কাজ কম জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাকি দিনগুলোতে কাজ আরও বাড়।

ব্রাহ্মণখালী এলাকার অমূল্য কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ি জানান, ঈদের মাসখানেক আগ থেকেই কাজের বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দুই হাজার টাকার কাজ করা যায়। তিনি আরো বলেন, কয়দিন ধরেই নতুন হাতিয়ার বিক্রি জন্য তৈরি করছি। পুরাতন হাতিয়ারে শান দেয়াও চলছে সমান তালে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ততাও তত বাড়ছে।

নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় প্রায় শতাধিক কামারের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। কারিগরদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে। বারুয়াখালী বাজারে ৪টি কামারের দোকান রয়েছে। সেখানে কথা হয় ব্যবসায়ী কমল কর্মকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লোহা ও কয়লার দাম বেশি। এই পেশায় আর আগের মতো লাভ নেই। তারপরও বাপ-দাদার এই পেশা ধরে রেখেছি। কোরবানির ঈদ এলেই ব্যবসাটা একটু ভালো হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার দোকানে ঈদে বিক্রি করার মতো সব ধরনের ছোট-বড় দা, বঁটি-ছুরি, চাপাতি আছে।’

বারুয়াখালী বাজারের প্রান্ত সরকার বলেন, বটি আকার ভেদে শান দিতে নেন ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, আর বিক্রি করেন ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। একইভাবে চাপাতি (কোপা) শান দিতে নেন ১০০ টাকা, বিক্রি করেন ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, ছোট ছুরি শানে ৩০ টাকা বিক্রি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বড় ছুরি শানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ও বিক্রি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাবাজু এলাকার মো. হুমায়ুন বলেন, ‘অন্য সময় সাধারণত কসাইয়ের দোকান থেকে আমরা মাংস নেই। সে ক্ষেত্রে আমাদের ছুরি, চাপাতি ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু কোরবানির ঈদে নিজেরাই পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করি। যার কারণে এগুলোর প্রয়োজন হয়।’ তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে কামারের দোকানে বেশ ভিড় রয়েছে। শান দেওয়ার দামও তুলনামূলক বেশি। বাড়ির পাশের কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি ১৫০ টাকা, ছোট ছুরি ৬০ টাকা এবং চাপাতি ৩০০ টাকা করে শান দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর
© এই ওয়েবসাইটি প্রিয়বাংলা২৪নিউজ.কম দ্বারা সংরক্ষিত।
পিবি লিংক এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান