1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে নবাবগঞ্জের খ্রিস্টানপল্লী

ইমরান হোসেন সুজন
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২০৯ বার দেখা হয়েছে

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকার নবাবগঞ্জের খ্রিস্টানপল্লি ও উপসনালয়গুলো। আজ সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়দিন উপলক্ষে এখন খ্রিস্টানপল্লীতে উৎসবের আমেজ। সেখানকার গির্জা ও বাড়িগুলো নতুন সাজে সেজেছে। প্রতিটি বাড়ির সামনে শোভা পাচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি।

জানা যায়, বান্দুরার হাসনাবাদ পবিত্র জপমালা রানীর গির্জা, গোল্লায় সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার গির্জা, তুইতাল পবিত্র আত্মার গির্জা, সোনাবাজু ফাতেমা রানী গির্জা ও মুন্সিগঞ্জের কেয়াইনে শুলপুর গির্জা এবং বক্সনগরের সাধু আন্তনীর গির্জা। উপজেলার বান্দুরা জপমালার গির্জায় চলছে শেষ মহুত্বের সাজসজ্জার কাজ। গির্জার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন কুঁড়েঘর নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন যিশুখ্রিষ্টের অনুসারীরা। এলাকার তরুণ–তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন তাঁদের বাড়ির উঠানের শোভাবর্ধনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বড়দিন উপলক্ষে অতিথি আপ্যায়নের জন্য বাড়িগুলোয় তৈরি করা হচ্ছে রকমারি পিঠাপুলি।

হাসনাবাদের বাসিন্দা রতন ডি কস্তা বলেন, গির্জাগুলোয় ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা থেকে লোকজন আসতে শুরু করবেন। ২৫ ডিসেম্বর ভোর থেকে উৎসব শুরু হবে। সকাল ৯টায় প্রার্থনা সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

১৮ পল্লি এলাকায় গির্জা আছে ছয়টি। সেগুলোকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গির্জার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন কুঁড়েঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মাতা মেরির কোলে যিশুখ্রিষ্টের মূর্তি শোভা পাচ্ছে।

ছোটগোল্লা কুরারবাড়ি এলাকার দীপা বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য আমরা কয়েক দিন ধরেই কেক ও পিঠাপুলি তৈরি করছি। অনেক আত্মীয়স্বজন দেশ ও দেশের বাইরে বসবাস করেন। বড়দিনে উপলক্ষে আসেন বেড়াতে। সবাই মিলে উৎসব উদ্‌যাপন করব। তাঁদের জন্য হরেক রকমের খাবার রান্না করা হবে।’

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে বান্দুরা বাজারে কেনাকাটা অনেকটাই বেড়েছে। পোশাক ব্যবসায়ী আবুল শিকদার বলেন, প্রতিদিনই খ্রিষ্টান মহল্লার লোকজন আসছেন নতুন কাপড় কিনতে।

বেকারিগুলোয় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভিড় বেড়েছে। বান্দুরা বাজারের সারা বেকারির মালিক মুকুল হোসেন বলেন, এবার কেক তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে। কারণ, বড়দিনে অনেকেই এখন বাড়িতে পিঠাপুলির সঙ্গে নিজেরাই কেক তৈরি করেন।

বড়দিনকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ জপমালা রানীর ধর্মপল্লির পালপুরোহিত স্ট্যানিসলাউস গোমেজ। তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রার্থনার মাধ্যমে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

গির্জাগুলো পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, গির্জা ও আশপাশের এলাকায় সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ