ঢাকার নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘ আয়োজিত বৈশাখী ডে-সিক্স এ সাইড ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে পতাকা উত্তোলন ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
টুর্ণামেন্ট আউলিয়াবাদ চিরসবুজ সংঘ, চরকুশাই ক্রিকেট একাদশ, পুরান তুইতাল রূপালী সংঘ, আলহাদীপুর একতা সংঘ, এমএন নূরানী সংঘ, জালালচর অগ্রগামী যুব সংঘ, হাসনাবাদ মৌলভীডাঙ্গী একতা সংঘ ও পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘ অংশগ্রহণ করেন। ফাইনাল মুখামুখি হন জালালচর অগ্রগামী যুব সংঘ ও পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘ।
টসে জিতে ব্যাটিং এ নেমে প্রথম ওভারেই ২০ রান সংগ্রহ করে উড়ন্ত সূচনা করেছিল পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘের উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ওভারে আরো ১৯ রান সংগ্রহ করলেও হারিয়ে ফেলেন লিমন ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিস মানিকের উইকেট। এরপর ৫৭ রানে পরপর দুই বলে নাঈম ও রকেট রোহান আউট হয়ে গেলে খেলা থেকে ছিটকে পরেন পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘ। শেষ জুটিতেও সুবিধা করতে না পাওয়ায় ৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘ। মাত্র ৫৯ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে প্রথম ওভারেই আদরের বলে সাজু আউট হয়ে গেলে চিন্তার ভাজ পড়ে জালালচর অগ্রগামী যুব সংঘের খেলোয়ার ও সমর্থকদের মনে। ২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় মাত্র ১৪ রান। তবে মলয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনের দাড়াতেই পারেনি পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘের বোলাররা। এতেই টুর্ণামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হন জালালচর অগ্রগামী যুব সংঘ। খেলায় জালালচর অগ্রগামী যুব সংঘের মলয় ম্যান অব দ্যা ফাইনাল এবং পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘের আদর ম্যান অব দ্যা টুর্ণামেন্ট নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে পুরাতন বান্দুরা নবীন সেতু সংঘের সভাপতি মোহাম্মদ মজনু মোল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আজগর হোসেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন এডুকেশন কেয়ার লিমিটেডের প্রোপাটর জুলফিকার আলী জাকির। খেলার উদ্বোধন করেন ব্যবসায়ী রাসেল উদ্দিন।
এসময় যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরেন ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ মজনু মোল্লাহ।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল শিকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের আহবায়ক কামরুজ্জামান জুমন, বান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক মেম্বার ও বান্দুরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবিদলের সভাপতি সত্যরঞ্জন হালদার।
শেষে ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দুই দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
মন্তব্য করুন