ঢাকার নবাবগঞ্জে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনকে মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চরখলসি এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২৪ মার্চ রাত আনুমানিক সারে ১০টার দিকে চরখলসী গ্রামের শাকিল হোসেনের সাথে একই এলাকার চুন্নু মৃধার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে চুন্নুর মৃধার মাথায় আঘাত করলে তিনি আহত হন। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চুন্নুকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তী মাথায় আঘাত পাওয়ার কারনে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি পরেরদিন বাসায় চলে আসেন। ২৫ মার্চ চুন্নু মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা বাদি হয়ে শাকিলের পাশাপাশি তার মা শাহনাজ বেগম ও স্থানীয় সামাদ মাদবর নামে একজনকে আসামী করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এঘটনায় শাকিলকে গ্রেপ্তার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় মো. আলাউদ্দিন জানান, আহত চুন্নু মৃর্ধাকে আমি ও সামাদ মাদবর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমি চুন্নু মৃর্ধাকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। আর চিকিৎসার টাকা দিয়েছে অভিযুক্ত শাকিলের মা শাহনাজ। এখন শুনি শাহনাজ ও সামাদ মাদবরের নামেও নাকি মামলা হয়েছে। চিকিৎসার টাকাও নিল আবার মামলাও করলো এটা ঠিক হয়নি। যে অপরাধ করেছে তার নাম দিতেই পারে, তাই বলে তার নিরোপরাধ মা ও আত্মীয় নামে মামলা দিবে? আমরা চাই পুলিশ সঠিত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করুক।
শাকিলের মা শাহনাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করেছে এটা স্বীকার করে আমি তার সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে টাকাও দিয়েছিলাম। কিন্ত ওরা আমার বিরুদ্ধেও মামলা করে দিল। শুধু একটা না এখন একাধিক অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করছে। অথচ ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তিনি আরো বলেন, চুন্নু মৃধা আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। ঐ টাকা আত্মসাতের জন্যই আমার নামে মামলা ও একাধিক অভিযোগ করেছে তারা। আমি চাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক।
সামাদ মাদবর বলেন, আমার নামে কেন মামলা দেওয়া হলো বুঝতে পারলাম না। ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি চুন্নু মৃর্ধাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। শাহনাজকে বলে তার চিকিৎসার টাকাও দিলাম। এখন শুনি আমার নামে মামলা। আমি চাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক।
এব্যাপারে চুন্নু মৃর্ধার ছেলে আলমগীর মৃর্ধা বলেন, শাকিল ঐদিন রাতে আমাদের বাসায় এসেছিল অটো চুরি করতে। আমার বাবা দেখে ফেলায় ও আমার বাবা উপর হামলা করে। এঘটনায় আমি মামলা করেছি। আর চিকিৎসার জন্য আমার কাছে কোন টাকা দেয়নি। আলা নামে একজনের কাছে নাকি দিয়েছিল, কত দিয়েছিল তা জানি না। টাকা ধারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাবা তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল আমরা পরে জানতে পেরেছি। পরে সুদ আসলে ২ লাখ টাকার একটা স্ট্যাম্প করেছে। টাকার সাথে এঘটনা সম্পর্ক নেই।
মন্তব্য করুন