ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সামাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা ইছামতি নদীকে ব্যবহার উপযোগি করতে কচুরীপানা অপসারণের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নদীতে কচুরিপানা মুক্ত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ইছামতি নদী কচুরিপানা অপসারণ কমিটির সমন্বয়ক রাশিম মোল্লা সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ইছামতি নদী পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ইছামতি নদীর উৎপত্তিস্থল সোনাবাজু কাশিয়াখালি বেরিবাধে দ্রæত দুটি সুইচগেট নির্মাণ ও বেরিবাধ থেকে বান্দুরা পর্যন্ত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান।
সংগঠনের সমন্বয়ক রাশিম মোল্লা বলেন, বর্তমানে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীতে কুচরিপানা নেই বললেই চলে। দুই তিন মাস পরেই কচুরিপানায় আটকে যাবে নদী। পচতে শুরু করবে পানি। প্রতিবছই এর বিরুপ প্রভাবের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ। বিশেষ করে উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষগুলোকে দুর্বিষহ কস্ট ভোগ করতে হয়। আমরা চাই এ সমস্যার নিরসন চাই।
ইছামতি নদী কচুরিপানা অপসারণ কমিটির সমন্বয়ক সাংবাদিক রাশিম মোল্লা’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন একুশে বøাড ডোনার্স ক্লাবের আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ, খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, দোহার -নবাবগঞ্জ পেশাজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক খালিদ হোসেন সুমন, সিনিয়র সাংবাদিক আলম হোসেন, সমাজ সেবক হাবিবুর রহমান হাবিব, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুজন, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি শামীম আরমান, নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি শওকত হোসেন রতন, মো. মিয়াজউদ্দিন ও রায়হান ইসলাম রাজু সহ আরো অনেকে।
মন্তব্য করুন