ঢাকার দোহারের চাঞ্চল্যকর দুইটি ডাকাতির ঘটনায় সর্দারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ২ জনকে ও লুন্ঠিত স্বর্ণ বিক্রি ও ডাকাতির তথ্য সংগ্রহ কাজে সহায়তা করায় ২ জনকে এবং লু্িন্ঠত স্বর্ণ কেনার অপরাধে আরো ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা গ্রামের ছাগলদীর খোরশেদ মাতুব্বরের ছেলে ডাকাত সর্দার ওমর আলী মাতুব্বর (৩৫), তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩০) ও মা কমেলা বেগম, একই উপজেলার বিনোকদিয়া গ্রামের গোসাই দাস পালের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল পাল এবং ভাংগা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে মো. আকরাম মাতুব্বর (৪২)।
বুধবার দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল রাতে দোহার উপজেলার পশ্চিম সুতারপাড়া এলাকার শাহজাহানের বাড়িতে সশস্ত্র হানা দেন ৫/৭ জন ডাকাতদল। শাহজাহান ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এর একদিন পর ১৬ এপ্রিল একই কায়দার উপজেলার নারিশা পশ্চিমচরের গাজী মাহফুজ কাকনের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে হাত পা বেঁধে আনুমানিক ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকা লুট করে ডাকাতদল। ডাকাতির ঘটনায় দোহার থানায় মামলা করেন ভুক্তাভোগী পরিবার দুইটি।
মামলা হওয়ার পরপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার ও রহস্য উদঘাটনের মাঠে নামেন দোহার থানা পুলিশ। দোহার থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা গোয়েন্দা (দক্ষিণ) শাখার একটি চৌকস দল সম্মিলিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত ১টি দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত ১০ আনা ১ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এএসপি আরো জানান, ডাকাত সর্দার ওমর আলী মাতুব্বর কিছুদিন পূর্বে জামিনে বের হয়ে বাসাভাড়া নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে এবং চাঞ্চল্যকর দুইটি ডাকাতি সংগঠিত করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিকভাবে অত্র ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অত্র ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন