এবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের বড় গোল্লা এলাকায় কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অংশ নিয়েছেন। মঙ্গলবারও তারা নামবেন কচুরিপানা অপসারনের কার্যক্রমে। তাদের এমন কার্যক্রমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ কমিটির সমন্বয়ক মো. রাশিম মোল্লা।
তিনি বলেন, গত শনিবার নবাবগঞ্জের খানেপুর পয়েন্টে তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে আমরা ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। ওই কার্যক্রমের দিন নদী পারের মানুষজনকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলাম। আজ দেখলাম বড় গোল্লার নারী পুরুষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের এমন উদ্যোগ সমাজের অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে সেন্ট থেকলাস্ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েয় শিক্ষক ভেরোনিকা বৃষ্টি গমেজ বলেন, কচুরিপানার কারণে আমাদেরকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদীতে এত পরিমান কচু যে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। নদী পারাপারে আমরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। গির্জা, স্কুল ও বাজারে যেতে পারি না। তাই আমরা আজ (সোমবার) বড় গোল্লার গির্জা ঘাটের কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণসহ ২০জনের একটি দল নদীর কচুরিপানা পরিস্কার অভিযানে নেমেছে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার খানপুরে তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে কচুরিপানা পরিস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, সেটা দেখে আমার কচুরিপানা অপসারণের পরিকল্পনা মাথায় আসে। পরে আমার দুই সহকর্মী শিক্ষিকা মুক্তা মন্ডল ও সন্ধ্যা গমেজের সঙ্গে আলোচনা করি। তারাও আমার প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেন। এই কার্যক্রমে অংশ নেন একজন সিনিয়র সিটিজেন হেন্ড্রি গমেজসহ বান্দুরা ও মহব্বতপুরের এলাকাবাসী।
আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় দ্বিতীয় দিনের মত নদীর কচুরিপানা অপসারণে জন্য নামব। এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদেরকে তাদের এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন