ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় দুই নারী পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর পশ্চিমদী খোয়ালপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে কয়েকজন শিক্ষার্থী।
পরে তাদেরকে প্রথমে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায়। সেখানে ভর্তি রেখে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, রাতে আমরা কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় রাস্তার উপর আলপনা আঁকতে ছিলাম। হঠাৎ অটোতে করে ভুক্তভোগী একটি মেয়ে এসে কান্না করে আমাদের জানায় ওই এলাকায় একদল ডাকাত তাদের দুইজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন। আমি পালিয়ে এসেছি কিন্তু আমার এক সহকর্মীকে তারা আটকে রেখেছেন। ঘটনাটি জানার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে কয়েকজনকে একত্রিত হয়ে ভোরে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অপর ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এসময় ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে শিপন মোল্লার মাকে আটক করে তার বাসা থেকে একটি পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরে শিপনের মাকে ও উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো সেনা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দুই নারীকে যে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে সেটি শিপন মোল্লার বাড়ি। সে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত একজন সন্ত্রাসী।
ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান,গলায় চাকু ধরে তাদের ওই বাড়িতে নিয়ে যায় একদল ডাকাত। সেখানে তাদের একজনকে দুইজন ও আরেকজনকে ছয়জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী ওই দুই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।
মন্তব্য করুন